fbpx
হোম অনুসন্ধান ক্যাসিনোর টাকা কোথায় যায়?
ক্যাসিনোর টাকা কোথায় যায়?

ক্যাসিনোর টাকা কোথায় যায়?

0

বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

রাজধানী ঢাকার ক্যাসিনো থেকে আয় করা অর্থ ধারাবাহিকভাবেই পাচার হচ্ছিল বিদেশে। একদিকে ক্যাসিনোগুলোয় কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা তাদের বেতন ও অংশীদারি থেকে পাওয়া অর্থ নিজ দেশে পাচার করতেন। অন্যদিকে ক্যাসিনোগুলোর একাধিক মালিক নিয়মিত সিঙ্গাপুর, দুবাই, ব্যাংককে গিয়ে জুয়া খেলে ওড়াতেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। এমনকি ক্যাসিনোর আয়ের টাকা পাচার করা হতো বিদেশে অবস্থানকারী সরকারের তালিকাভুক্ত একাধিক শীর্ষ সন্ত্রাসীর কাছে। এসব তথ্য পাওয়া গেছে ঢাকার ক্যাসিনো মালিকদের রাজনৈতিক সহযোগীদের কাছ থেকে।

সংবাদ বিশ্লেষণ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে, ঢাকার ক্যাসিনোগুলোয় অংশীদারির ভিত্তিতে কাজ করেন ৯ জন নেপালি নাগরিক। ক্যাসিনো পরিচালনায় অভিজ্ঞ এসব নেপালি নাগরিকের বিভিন্ন দেশে ক্যাসিনোর ব্যবসা রয়েছে। ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে এসে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা। অনুসন্ধানে অংশীদারির ভিত্তিতে ক্যাসিনো পরিচালনাকারী ৯ নেপালি নাগরিকের নাম পাওয়া গেছে। ২০১৫ সাল থেকে তারা ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করছেন। এই ৯ নেপালি নাগরিক হচ্ছেন বিনোদ মানালী, অজয় পাকরেল, দীনেশ, রাজকুমার, প্রদীপ ওরফে সুরেশ, হেলমি, কৃষ্ণা থাপা, মালকি ও ছোট রাজকুমার। তারা সবাই ঢাকায় ক্যাসিনোর অংশীদার। এ ছাড়া নেপালের আরো প্রায় ২০ জন নাগরিক ঢাকার ক্যাসিনোগুলোতে কাজ করেন। তাদের প্রত্যেকের মাসিক বেতন এক হাজার ডলার বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যুবলীগ যে পরিমাণ ক্ষমতাধর হয়ে উঠেছে তাতে শেখ হাসিনা ছাড়া কারো পক্ষেই তাদের সামলানো কঠিন। সম্রাটের অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ মিলবে কী পরিমাণ নেপালি নাগরিক যাতায়াত করত।’

সিঙ্গাপুর, দুবাই, ব্যাংকক ও মালয়েশিয়ায় গিয়ে জুয়া খেলেন ঢাকার একাধিক যুবনেতা। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, বেশ কয়েকজন যুবনেতার প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার বিদেশ গমনের রেকর্ড রয়েছে। ওই সব নেতার পাসপোর্ট তল্লাশি করলে এই সত্যতা পাওয়া যাবে। তাদের বেশির ভাগের গন্তব্য সিঙ্গাপুর, দুবাই, ব্যাংকক ও মালয়েশিয়া এবং অনেকের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান আছে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদ, সহসভাপতি আরমানুল হক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুইয়া, জামাল, সাবেক এক প্রতিমন্ত্রীর এপিএস মিজানুর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। যুবলীগের আরো কয়েকজন আছেন যারা মাঝেমধ্যেই বিদেশ যান।

উল্লেখ্য, ক্যাসিনোতে জড়িত একাধিক যুবলীগ নেতা নিয়মিত সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও দুবাই গিয়ে জুয়া খেলে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেন। দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের চীনা বান্ধবী মিন্ডি লির জন্মদিন পালনের বিষয়টি বহুল আলোচিত ঘটনা। শুধু সম্রাট নন, যুবলীগের একাধিক নেতা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় তাদের দ্বিতীয় আবাস গড়তে বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনেছেন। কেউ কেউ কোম্পানিও খুলেছেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *