কেমন আছেন ভাসানচরের রোহিঙ্গারা ?
বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে গত মে মাসে ভাসানচরে নিয়ে যায় সরকার।
জুলাইয়ে ইউএনএইচসিআর-এর কক্সবাজার কার্যালয়ের মুখপাত্র লুইস ডোনোভান বলেছিলেন, ওই শরণার্থীদের জন্য সেখানে জাতিসংঘের প্রবেশাধিকার এখন খুবই জরুরি।
ভাসানচরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক কমোডর মামুন বলেন, এখানে থাকা ৩০৭ রোহিঙ্গা খুবই ভালো আছে। তারা আরাম করে খাচ্ছে-ঘুমাচ্ছে। এখনো তাদের বেসামরিক প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আমরাই (নৌ বাহিনী) তাদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করছি।
এদিকে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার পরই বেসামরিক প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি শুরু হবে বলে জানান নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।
নোয়াখালীর জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গা নেতাদের একটি দল সন্ধ্যায় তার এলাকার ভাসানচরে পৌঁছার কথা রয়েছে। মূলত তারা ভাসানচর থাকার উপযোগী কিনা সেই বিষয়ে পরির্দশনে আসছে।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে আশ্রয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ এবং এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের এক সভায় ভাসানচরের জন্য নেওয়া প্রকল্পের খরচ ৭৮৩ কোটি টাকা বাড়িয়ে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা করা হয়। বাড়তি টাকা বাঁধের উচ্চতা ১০ ফুট থেকে বাড়িয়ে ১৯ ফুট করা, আনুষঙ্গিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের জন্য ভবন ও জেটি নির্মাণে খরচ হবে।