কেনো হারিয়ে গেলেন শিল্পী বাবুল কিশোর, রহস্য কী ?
Please accept YouTube cookies to play this video. By accepting you will be accessing content from YouTube, a service provided by an external third party.
If you accept this notice, your choice will be saved and the page will refresh.
এক সময়ের গ্রাম-বাংলার বিপুল জনপ্রিয় লোক সঙ্গীতশিল্পী বাবুল কিশোরের গান হাটে-মাঠে, মুদির দোকান, মাইকে ইত্যাদি সব জায়গায় শোনা যেতো। নিয়মিত বাংলাদেশ বেতার ও রংপুর বেতারে বাজত বাবুল কিশোরের কণ্ঠে মিশে থাকা হৃদয় মুগ্ধ করা গান। শ্রোতারাও শোনার জন্য আগ্রহ নিয়েই বসে থাকতো।
কিন্তু হঠাত করেই তার গান শ্রোতারা নিয়মিত না পাওয়ায় অনেকটা ধোঁয়াশা তৈরী হয়। অনেকে বলেছেন তিনি দেশের বাইরে , আবার অনেকে ধারণা করছেন গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু সত্যি কি তাই ?
সম্প্রতি তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘আমি না কইতে পারিলাম তারে থাকো…চিরদিনের নাইওর গেলো… ইত্যাদি গানের গীতিকার ও সুরকারের মুখেই শোনা গেলো আসল রহস্য। চেঞ্জ টিভির একান্ত সাক্ষাতকারে ভাওয়াইয়া শিল্পী, গবেষক ও সঙ্গীত প্রযোজক এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান জানালেন বাবুল কিশোরের হারিয়ে যাওয়ার আসল গল্প।
তিনি জানান, মূলত গানগুলো যখন খুব জনপ্রিয় এবং প্রচুর বিক্রির তালিকায় তার এ্যালবাম, ঠিক কিছুদিন পরেই তার গলায় সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে পরবর্তীতে তিনি আর গান গাইতে পারেন নি বা চেষ্টাও করেন নি। এবং আজও তিনি গান করছেন না বলে তিনি জানান। তিনি মাঝে মাঝে গান করেন তবে নিয়মিত না। এখন কক্সবাজার বেতারে নিয়মিত দোতারা বাদক বলে জানান এই ভাওয়াইয়া গবেষক।
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমানের লেখা গানের সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি। তার লেখা ও সুর করা গানের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া গান রয়েছে যা লোকমুখে বেশ পরিচিত। বিশেষ করে শিল্পী বাবুল কিশোরের অনেক গানের স্রষ্টা এই ভাওয়াইয়া গবেষক। যেমন; আমি না কইতে পারিলাম তারে থাকো…চিরদিনের নাইওর গেলো ছাড়াও অন্যান্য শিল্পীর কণ্ঠে আয়শার মায়ের পয়সা হারাইছে ইত্যাদি গান ব্যাপক জনপ্রিয়।
সাক্ষাতকারের বিস্তারিত দেখুন… এক সময়ের বিপুল জনপ্রিয় শিল্পী বাবুল কিশোর হারিয়ে যাওয়ার রহস্য কী ?