কাশ্মীরে গুপকার জোটের বড় জয়, বিজেপির দখলে জম্মু
বিশেষ ক্ষমতা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম ভোট হলো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের ২০টি জেলায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বলছে ২৮০টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১০টি আসনে জিতেছে গুপকার জোট। অন্যদিকে এনডিটিভি বলছে ১০০টি আসন জিতেছে গুপকার জোট। তার মধ্যে সব ক’টির ফল ঘোষণা হয়নি। ৭৪টি আসনে বিজেপি এবং ২৬টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস।
এক একটি জেলায় ১৪টি করে আসন রয়েছে। ২৫ দিন ধরে আট দফায় ভোট হয়েছে। অবশেষে ফল ঘোষণা। যদিও শ্রীনগরের ফল এখনও ঘোষিত হয়নি।
বিজেপি নেতা তথা নির্বাচনী প্রধান সাইদ শাহনেওয়াজ হুসেইন এই ফলাফলকে বুলেটের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মানুষের আস্থার প্রতিফলন হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, তারা বুলেট-গ্রেনেডের বদলে গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখে। তিনি গুপকার জোটকেও কটাক্ষ করেছেন।
অন্যদিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এই ফলাফলকে কষ্টার্জিত জয় বলেছেন। তিনি বলেন, মানুষ ৩৭০ বিলোপকে মেনে নেয়নি। কাশ্মীরের মানুষ ফের রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার জন্য লড়াই করবে।
গত বছর আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকাকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়। সেই নিয়ে থমথমে পরিবেশের মধ্যেই এই প্রথম নির্বাচন সম্পন্ন হল সেখানে।
তাতে একদিকে রয়েছে আবদুল্লাদের ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি), মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)’র মতো আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে গঠিত গুপকার জোট। তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু ও কাশ্মীরে ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলাপমেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচন প্রথম। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবসান হয়েছে এবং সাবেক রাজ্যটি দুটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হয়েছে। তাই এই নির্বাচনের ফলাফল কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে সেখান মানুষের মনোভাবের একটা আভাস জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।