fbpx
হোম আন্তর্জাতিক কাশ্মীরে ইমামদেরও হেনস্থা করা হচ্ছে
কাশ্মীরে ইমামদেরও হেনস্থা করা হচ্ছে

কাশ্মীরে ইমামদেরও হেনস্থা করা হচ্ছে

0

 ভয়ে পাশের বাগানে আপেল গাছে উঠে পড়েছিলেন মোহাম্মদ মাল্লা নামের এক যুবক। পুরো রাত সেখানেই কাটাতে হয় ওই যুবককে। কাশ্মীরের পুলওয়ামার রামহু গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, তাঁদের এমন আতঙ্কেই রাতদিন কাটাতে হচ্ছে।

রামহুর বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বিশেষ মর্যাদা লোপ ও নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, তার পর থেকেই রাতে গ্রামে হানা দেওয়া শুরু করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। বাসিন্দাদের বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি জওয়ানেরা বাড়িঘর, গাড়ি ভাঙচুর করছেন। কেড়ে নিচ্ছেন বাসিন্দাদের পরিচয়পত্র। স্থানীয় মসজিদগুলির লাউডস্পিকার থেকে ঘোষণা আটকাতে সেগুলির প্রবেশপথই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইমামদেরও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

বাসিন্দাদের দাবি, ফের ‘পাথর ছুড়লে’ কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে পুলিশ। বাসিন্দাদের দাবি, ইতিমধ্যেই গ্রামের ২৩ জন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারির পর থেকে আর তাদের দেখা পাননি পরিবারের সদস্যেরা।

গ্রেফতারির ভয়ে এখন গ্রামের বাইরে রাত কাটাচ্ছেন অনেক যুবক। তাদেরই মধ্যে এক জন মোহাম্মদ মাল্লা। রামহু থেকে ফোনে জানান, কয়েক দিন আগে সন্ধ্যার নামাজের ঠিক আগে শিস শুনতে পেলাম। গ্রামে বাহিনী ঢুকলে এ ভাবেই শিস দিয়ে একে অপরকে সতর্ক করি আমরা। গ্রামের পাশেই আমার বাগান। সেখানে পালিয়ে গেলাম কয়েক জন। ভয়ে আপেল গাছে উঠে পড়ি। রাতে আর ফেরার সাহস পাইনি।

তবে পুলওয়ামার পুলিশের মুখপাত্রের বক্তব্য, যারা গোলমাল পাকাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবেই। ওই গ্রামের কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার অভিযোগ আছে।

জানা যায়, কেবল রামহু নয়, গোটা পুলওয়ামা জেলাতেই এখন ব্যারিকেডের ছড়াছড়ি। বাহিনীর গাড়ি ছাড়া রাস্তায় নেই কোনও যানবাহনও।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *