fbpx
হোম অন্যান্য কাফনের কাপড় পড়ে বাঁচার আকুতি শ্যামনগরবাসীর !
কাফনের কাপড় পড়ে বাঁচার আকুতি শ্যামনগরবাসীর !

কাফনের কাপড় পড়ে বাঁচার আকুতি শ্যামনগরবাসীর !

0

বহু পুকুর ভেসে মাছের খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট সবকিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধে বুধবার থেকে উত্তাল নদ-নদীর ঢেউ আচড়ে পড়ে এখন কঙ্কালসার বেড়িবাঁধ কোনো মতে টিকিয়ে রেখেছে উপকূলবাসী। বছরের পর বছর ধরে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি জানিয়ে আসলেও সেই দাবি বরাবরই উপেক্ষিত থেকেছে।

তাই শুক্রবার সকাল ১০টায় উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালি পয়েন্টের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওপর টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।

কর্মসূচিতে নেয়া উপকূলবাসী- ভাসতে চাই না, বাঁচতে চাই। একবারই মরবো, বারবার নয়। আমাদের জীবনের কি কোন মূল্য নেই ? জলবায়ু তহবিল কাদের জন্য ? উপকূলের কান্না কি চিরদিনের ? কর্তৃপক্ষ মরে গেছে, আমরা বেঁচে করবো কি ? নিরাপদে বাঁচার, নাই কি আমার অধিকার ? বাস্তভিটা ছেড়ে, ভাসানচরে যাবো না- ইত্যাদি প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।

উপকূলের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটির আয়োজনে এই কর্মসূচিতে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে উপকূলের সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশলী ইয়াছির আরাফাত বলেন, বিগত ১২ বছর ধরে উপকূলের মানুষ ভাসছে। প্রতিবারই এমন পরিস্থিতিতে কর্তাব্যক্তিরা শুধু আশ্বাসের কিছু মুখস্ত বুলি আওড়ান। আমরা নানান ধরনের মেগা প্রকল্পের নাম শুনে আসছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকর উদ্যোগ আলোর দেখা পায়নি। আমরা উপকূলের মানুষ টেকসই বেড়িবাঁধসহ এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।

ভুক্তভোগী স্থানীয় রবিউল ইসলাম জানান, আম্ফানে ঘর বাড়ি সব ভেঙে গেছে। গত ৪ বছরে ৫ বার ঘর বানাতে হয়েছে। মাছের ঘের ডুবে গেলে সর্বস্বান্ত হয়ে যাই। একটু ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতে আবার শুয়িয়ে দিল আমাদের। আর যাবারও জায়গা নেই। বলারও জায়গা নেই।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *