fbpx
হোম রাজনীতি আয়কর ফাঁকি, রেজা কিবরিয়াকে এনবিআরের নোটিশ
আয়কর ফাঁকি, রেজা কিবরিয়াকে এনবিআরের নোটিশ

আয়কর ফাঁকি, রেজা কিবরিয়াকে এনবিআরের নোটিশ

0

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার আয় ও সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রাষ্ট্রের রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সংস্থা মনে করে, আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার এই ছেলে তার আয়কর রিটার্নে সম্পদ ও আয়ের তথ্য গোপন করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার কর অঞ্চল-৬-এর কর সার্কেল-১১৫-এর উপকর কমিশনার মো. শামীম মিয়া একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন রেজা কিবরিয়াকে। তাতে বলা হয়েছে, ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর মামলা আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ৯৩ ধারায় পুনঃউন্মোচন করা হলো।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডির ৩৪ নম্বর সড়কের ৫৮ নম্বর বাড়িতে উত্তরাধিকার সূত্রে রেজা কিবরিয়া ১৪টি ফ্ল্যাটের মালিক। কিন্তু আয়কর নথিতে তিনি একটি ফ্ল্যাটের ভাড়া উল্লেখ করেছেন। বাকি ফ্ল্যাটের আয় গোপন করেছেন। সম্পদ ও দায় বিবরণীতে রেজা কিবরিয়া শেয়ার খাতে ১৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ দেখালেও কোনো আয় দেখাননি। আয়কর রিটার্নে তিনি ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ব্যাংক হিসাব বিবরণী দেখিয়েছেন। কিন্তু এনবিআর খোঁজ নিয়ে জেনেছে, বিদেশি এইচএসবিসি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকেও তার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওইসব অ্যাকাউন্টের তথ্য রিটার্নের সঙ্গে দাখিল না করে ব্যাংকে জমা ও স্থিতির তথ্য গোপন করেছেন। এ ছাড়া রেজা কিবরিয়া ইনেট্রো হোল্ডিংস (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান থেকে তার কোনো আয় রিটার্নে উল্লেখ করেননি।

এসব বিষয়ে রেজা কিবরিয়ার কোনো বক্তব্য বা ব্যাখ্যা থাকলে তা আগামী ৬ মার্চের মধ্যে কর অঞ্চল-৬-এর কর সার্কেল-১১৫-এর উপকর কমিশনারের কার্যালয়ে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে জানাতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

এসব বিষয়ে রেজা কিবরিয়ার কোনো বক্তব্য বা ব্যাখ্যা থাকলে তা আগামী ৬ মার্চের মধ্যে কর অঞ্চল-৬-এর কর সার্কেল-১১৫-এর উপকর কমিশনারের কার্যালয়ে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে জানাতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

এসব সম্পদ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজা কিবরিয়া চেঞ্জ টিভিকে বলেন, আয়কর রিটার্নে যে সম্পত্তি ও আয় উল্লেখ করেছি, তার বাইরে আমার কোনো সম্পত্তি ও আয় নেই। আয়কর বিভাগের লোকেরা যদি আমার বাড়তি কোনো সম্পদ খুঁজে পান, সেটা আমার জন্য সুখবর। কোনোভাবেই আমার ১৪টি ফ্ল্যাট নেই। কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ নেই। রিটার্নে শেয়ারে কোনো বিনিয়োগ উল্লেখ করা থাকলে সেটা আমার সাবেক স্ত্রীর। সেই শেয়ারের মালিক আমি না। আমার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ২০০২ বা ২০০৩ সাল থেকে বন্ধ। এইচএসবিসির অ্যাকাউন্টও বন্ধ ২০১৬ বা ২০১৭ সাল থেকে। আয়কর বিভাগের লোকেরা আমাকে জিজ্ঞেস না করে, ব্যাংকে খবর নিলেই জানতে পারবেন এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ এবং তাতে কোনো জমা টাকা নেই। এ খবর নেওয়া তাদের জন্য সহজ। আমার আয়ের একটাই উৎস। সেটা হচ্ছে আইএমএফের বেতন। ১৯৮৪ সালে আইএমএফের বেতন স্লিপ আছে। অথবা আয়কর বিভাগ আইএমএফ থেকেও জানতে পারে এবং সারাবিশ্বে কোথাও আইএমএফের বেতনের টাকায় কর নেই। ইনেট্রো হোল্ডিংস (প্রা.) লিমিটেড আমার শ্রীলঙ্কান দু’জন বন্ধুকে নিয়ে করেছিলাম। প্রতিষ্ঠানটি কোনো কার্যক্রমে যায়নি। সেখানে আমার আয়ের পরিবর্তে লোকসান হয়েছে। ফলে আয়কর বিভাগ কেন এসব খোঁজাখুঁজি, চিঠি চালাচালি করছে, সেটা আমার বোধগম্য নয়। এসব নিয়ে আমি মোটেই চিন্তিত নই।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *