করোনার মধ্যে ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা উদ্ধার !
টেকনাফ সীমান্তে মালয়েশিয়া ফেরত ৩ শতাধিক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা হলবনিয়াপাড়া ঘাট থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া প্রত্যেকেই উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল। পরে মালয়েশিয়া যেতে না পেরে এই এলাকার জাহাজ ঘাটে ভিড়ে। খবর পেয়ে কোষ্টগার্ড সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।
টেকনাফ স্টেশন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এম সোহেল রানা বলেন, রোহিঙ্গা ভর্তি একটি বড় জাহাজ টেকনাফ জাহাজপুরা ঘাট দিয়ে উঠার সময় ৩ শতাধিকের মত রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বেশ কিছুদিন আগে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাত্রা করছিল। কিন্তু সেখানে ভিড়তে না পেরে আবার চলে আসেন। তবে সংখ্যাটা কম বেশি হতে পারে।
ফেরত আসা রোহিঙ্গা যুবক আরমান বলেন, তারা দুইবার মালেশিয়া বর্ডারে গিয়েছিল সেখানে সে দেশের প্রশাসন ঢুকতে দেয়নি। এরপর আমাদের নৌকার মাঝি অনেক চেষ্টা করেছিল তারপরেও সম্ভব হয়নি। তারপর ৫২ দিন পর আবার চলে আসি বাংলাদেশে। আমাদের বোটে ৪৮০ জন ছিল সেখান অনেকজন মালেশিয়া সীমান্তে মারা গেছে।
স্থানীয় সাদ্দাম হোসেন জানান, হলবনিয়া নৌকা ঘাট বরাবর মালয়েশিয়াগামী বোট তীরে ভিড়ে। এতে প্রায় ২৫০ জন নারী পুরুষ, শিশু, যুবতী মহিলা রয়েছে। তারা বলেন- সবাই প্রায় ১ মাস ১৫ দিনের মত, আবার অনেকের তথ্য অনুযায়ী ২ মাস ২৬ দিন সমুদ্রের পানিতে থাকে। মালেশিয়া ঢুকতে না পেরে আবার চলে এসেছে।
টেকনাফ উপজেলার ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়া ফেরত ৪ শতাধিকের মত রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের আগে এক জায়গায় জড়ো করা হচ্ছে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশির ভাগ নারী ও শিশু রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, করোনার প্রাদুর্ভাবে এমন কড়া নিরাপত্তার পরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবশের চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাকে অন্য চোখে দেখছে সচেতন মহল।