fbpx
হোম জাতীয় করোনায় যেভাবে আয় কমেছে দেশের মানুষের
করোনায় যেভাবে আয় কমেছে দেশের মানুষের

করোনায় যেভাবে আয় কমেছে দেশের মানুষের

0

গবেষণা সংস্থা পিপিআরসি ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ‘কোভিড-১৯-এর সময় জীবিকা, ক্ষতি ও সহায়তা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে শহরের মানুষের আয় ৭৫ শতাংশ এবং গ্রামের মানুষের আয় ৬২ শতাংশ কমেছে। কর্মহীন হয়ে নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছে ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার মানুষ। করোনার আগে দরিদ্র ছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। সব মিলিয়ে করোনার কারণে ৭ কোটি মানুষ কর্মহীন এবং দারিদ্র্যসীমায় রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সরকারি হিসাবে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। করোনার কারণে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা আরো ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে হবে ৪৩ শতাংশ। করোনার কারণে অতিদরিদ্রের ৭৩ শতাংশ, মধ্যম দরিদ্রের ৭৫ শতাংশ, দারিদ্র্যসীমার বাইরে কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের ৬৭ শতাংশ, দারিদ্র্যসীমার বাইরের মানুষের রোজগার ৬৫ শতাংশ কমে গেছে।

পেশাওয়ারি সবচেয়ে বেশি রোজগার কমেছে রেস্তোরাঁর কর্মীদের। তাদের রোজগার কমেছে ৯৯ শতাংশ। রোজগার কমার ক্ষেত্রে এর পরের অবস্থানে আছেন ভাঙারির কর্মীরা। তাদের রোজগার কমেছে ৮৮ শতাংশ। রিকশাচালকদের আয় কমেছে ৮৪ শতাংশ। দিনমজুরের আয় কমেছে ৮৩ শতাংশ। শিল্পীসমাজের আয়ও কমেছে ৮৩ শতাংশ। মালি ও কারখানার কর্মীদের আয় কমেছে ৮০ শতাংশ।

এছাড়া দক্ষ শ্রমিকদের ৭৯ শতাংশ, কৃষিশ্রমিকদের ৭৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ৭৩ শতাংশ, দোকান, সেলুন, পার্লারের রোজগার কমেছে ৭২ শতাংশ। পোশাককর্মীদের আয় কমেছে ৪৯ শতাংশ, কৃষকের ৪৪ শতাংশ, পিয়ন ও নিরাপত্তারক্ষীদের ৪৩ শতাংশ, অফিসের আনুষ্ঠানিক কর্মীদের কমেছে ৩৩ শতাংশ এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আয় কমেছে ২৭ শতাংশ।

অপর এক জরিপে দেখা যায়, কোভিড-১৯-এর কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর বহুবিধ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের কমপক্ষে এক জন সদস্য চাকরি হারিয়েছেন। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে গড় পারিবারিক উপার্জন কমেছে প্রায় ৭৪ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, করোনার এই সময়েই আগামী বছরের বাজেট দেওয়া হচ্ছে। এই বাজেটে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিকে পুনরায় সচল করা যায়। করোনার কারণে আয় কমে যাওয়া মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে হবে। তাদের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সঠিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *