fbpx
হোম বিনোদন কট্টরপন্থীদের চাপেই অভিনয় ছেড়েছেন জাইরা : তসলিমা
কট্টরপন্থীদের চাপেই অভিনয় ছেড়েছেন জাইরা : তসলিমা

কট্টরপন্থীদের চাপেই অভিনয় ছেড়েছেন জাইরা : তসলিমা

0

জাইরা ওয়াসিমের প্রস্থান কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের নির্বাচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। যদিও অনেকের দাবি, জাইরা ওয়াসিম বলিউড ছেড়েছেন তার নিজের ইচ্ছায়। তবে তসলিমার দাবি, আসলে ইসলামি কট্টরপন্থীদের চাপেই অভিনয় ছাড়তে হয়েছে জাইরা। ঠিক যে কারণে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে তসলিমাকে।

সেখানে প্রশ্ন তুলেছেন, ধর্ম করতে হলে কি কর্ম ত্যাগ করতে হয়? জাইরা যেহেতু বলেছেন যে ধর্মে সঙ্গে তার সম্পর্কের পথে বাধা তৈরি করছিল তার কাজ, তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। এছাড়া জাইরা যে পোস্টে নিজের বলিউড ছাড়ার কথা বলেছিলেন, সেটা অভিনেত্রী আদৌ নিজে লেখেননি বলে মনে করেন তসলিমা। তার মতে, একজন স্মার্ট কিশোরীর পক্ষে কোরআনের আয়াত এতখানি মুখস্থ থাকা সম্ভব নয়।

তিনি লিখেছেন, কোরআন সে এমনই মুখস্থ করেছে যে, ফেসবুকে লিখতে গিয়ে এক এক করে তার কোরআনের আয়াতগুলো মনে পড়ে গেছে? আমার কিন্তু মনে হয় জায়রার লেখাটি একেবারেই জায়রার লেখা নয়। লেখাটি অন্য কেউ লিখে দিয়েছে। আর তসলিমার অনুমান, সেই অন্য কেউ আসলে একজন কট্টর ইসলামী মৌলবাদী।

তসলিমা আরও যুক্ত দিয়ে বলেন যে, জাইরা চাইলে কোনও সিনেমায় কনট্রাক্টে সই না করে চুপচাপ বলিউড ছাড়তে পারতেন। তা না করে সবাইকে বার্তা দিয়ে ছাড়লেন। তসলিমার মতে, আসলে এই বিবৃতির মাধ্যমে সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম মেয়েদের জানিয়ে দেওয়া হলো, যে অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিও না, শুধু অভিনয় জগত নয়, গানের জগত, শিল্প সাহিত্যের জগত, ঘরের বাইরের যেকোনও জগতই মেয়েদের জন্য নিষিদ্ধ।

স্বনির্ভরতা মেয়েদের জন্য হারাম। লেখিকা বলেন, মেয়েরা ঘরে বসে কোরআন হাদিস পড়বে, নামাজ রোজা করবে, ঘরের বাইরে যদি যেতেই হয় যাবে বোরখা পরে, কোনও পরপুরুষ যেন তাদের শরীরের কোনও অংশ না দেখতে পায়, এমনটাই চায় ইসলাম। তসলিমা মনে করিয়ে দিয়েছেন, গানের জগত থেকে প্রাগাস নামে কাশ্মীরী মেয়েদের গানের দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছিল কয়েক বছর আগে।

গ্র্যান্ড মুফতি ফতোয়া দিয়েছিলো মেয়েদের গান গাওয়ার বিরুদ্ধে। মেয়েরা মৃত্যুর হুমকি এতো পেয়েছিল যে দল বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিল। তাই সব শেষে তসলিমা বলেন, ইসলামের কারণে সবচেয়ে বেশি মেয়েরাই তো ভুগছে। তাই মেয়েরা, ইসলাম ত্যাগ করুক। তার আশা ভবিষ্যতে ইসলামের রিফর্ম ঘটুক, ইসলাম থেকে বর্বরতা, অমানবিকতা, হিংস্রতা, হিংসে – ঘৃণা, ইত্যাদিকে বিদেয় করে মানবিক এবং উদার করা হোক।এর আগেও জাইরাকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তসলিমা। বলেছিলেন, এভাবে আর কত ট্যালেন্টকে বোরখার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হবে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *