ওরস মাহফিল বন্ধ করতে বলায় পুলিশকেই মারধর
ওরস মাহফিল বন্ধ করার বলায় বগুড়ার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন ওই মাজারের অনুসারীরা।
গতকাল রাতে শহরের গোয়ালগাড়ী এলাকায় শাহ্ সেরাজুল হক চিশতীর মাজার প্রাঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন এবং ২০ জন মাজার অনুসারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো ২৫ মার্চ ওই মাজারের ওরস আয়োজনের খবর শুনে তারা কয়েকদিন ধরেই মাজার কমিটিকে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার অনুরোধ জানান।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য বুধবার দুপুরেও পুলিশ সদস্যরা মাজারে গিয়ে ওরস আয়োজন বন্ধ করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু গণজমায়েতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় আড়াইশ মানুষ ওই ওরসে সমবেত হন। মাজারে গিয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক জাহিদুর রহমান আবারও ওরস বন্ধের অনুরোধ করলে মাজার অনুসারীরা তাদের ওপর চড়াও হন। তারা লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, রাত ১০টার দিকে সদর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মাজার থেকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে মাজারের বিভিন্ন কক্ষ থেকে আটক করা হয় অন্তত ১৫/২০ জন পুরুষ মাজার অনুসারীকে। এদের মধ্যে ওই ওয়ার্ডের সাবেক দুই কমিশনার নুরুল আমীন ও শফিকুল ইসলাম নয়নও রয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।