এ বছরের সেরা ১০ ইউটিউবার
রায়ান কাজির বয়স সবেমাত্র আট বছর। খেলনার জগতে ডুবে থাকার বয়স। রায়ান কাজি ইউটিউবে সে কাজটিই করে। বিভিন্ন ধরনের খেলনার পর্যালোচনা দেয় সে। রায়ানের মা-বাবা তা ধারণ করে ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করেন। আর এভাবেই আয়ে শীর্ষ ইউটিউবারদের শীর্ষস্থানটা টানা দ্বিতীয়বারের মতো দখলে রেখেছে সে। ২০১৯ সালে রায়ানস ওয়ার্ল্ড ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তার আয় ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
ফোর্বস-এর শীর্ষ ইউটিউবারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডিউড পারফেক্ট চ্যানেল। এরপরই নাসতিয়ার নাম। বিজ্ঞাপন, পৃষ্ঠপোষকতা, নিজ নামে পণ্যসামগ্রী বিক্রি এবং ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অন্যান্য উৎস থেকে আয়ের কর কর্তনের আগের আনুমানিক হিসাব করে এই তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকীটি। এ বছর শীর্ষ ১০ ইউটিউবারের মোট আয় ১৬ কোটি ২০ লাখ ডলার।
মা-বাবা ও যমজ বোনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে থাকে রায়ান। ইউটিউব চ্যানেলের ২ কোটি ৩০ লাখ সাবস্ক্রাইবারের জন্য প্রায় প্রতিদিন নতুন ভিডিও প্রকাশ করে সে। তার ভিডিওগুলোর ভিউয়ের সংখ্যা মিলিয়ন এবং কিছু ভিডিওর বেলায় বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউটিউব ভিডিওতে শিশু থাকলে গড়ে অন্যান্য ভিডিওর তুলনায় তিন গুণ বেশি মানুষ দেখে থাকে। তবে রায়ানের ভাষায়, মানুষ তার ভিডিও দেখে, কারণ, সে মজার।
এ বছরের শীর্ষ ১০ ইউটিউবার হলেন রায়ান কাজি (২ কোটি ৬০ লাখ ডলার), ডিউড পারফেক্ট (২ কোটি ডলার), নাসতিয়া (১ কোটি ৮০ লাখ ডলার), রেট অ্যান্ড লিংক (১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার), জেফরি স্টার(১ কোটি ৭০ লাখ ডলার), প্রিস্টন আর্সমেন্ট (১ কোটি ৪০ লাখ ডলার), পিউডিপাই (১ কোটি ৩০ লাখ ডলার), মারকিপ্লায়ার (১ কোটি ৩০ লাখ ডলার), ডেনিয়েল মিডলটন (১ কোটি ২০ লাখ ডলার), ইভান ফং (১ কোটি ১৫ লাখ ডলার)।