fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা এমপি হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের ১ বছরের কারাদণ্ড
এমপি হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের ১ বছরের কারাদণ্ড

এমপি হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের ১ বছরের কারাদণ্ড

0

অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে এমপি হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিমকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার সন্ধ্যায় অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় ৬ মাস করে মোট ১ বছরের সাজা দেন র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন, আরও দুটি মামলা করবে র‍্যাব।

র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘সাদা রঙের নয়তলা এ ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকেন এরফান সেলিম। সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৭টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া, বিদেশি মদ ও বিয়ারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া গেছে।’ তিনি বলেন, ‘আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজ এখনো দেখাতে পারেননি। আর ওয়াকিটকিগুলোও অবৈধ, কালো রঙের এসব ওয়াকিটকি শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করতে পারেন।

জানা গেছে, হাজী সেলিমের ছেলে পুরান ঢাকা তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মধ্যে রেখেছেন। এজন্য তিনি অবৈধভাবে ভিপিএস ডিভাইস ব্যবহার করতেন। এই ডিভাইস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ট্র্যাক করতে পারেন না। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই তিনি এই ভিপিএস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম করেছিলেন।

এর আগে, রোববার রাতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে তার ছেলে এরফান ও তার কতিপয় সঙ্গী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে ঘটনাটি ঘটে। রাতেই এ বিষয়ে জিডি এবং সোমবার ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার এজাহার অনুযায়ী- রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে স্টিকার লাগানো কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬) পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এরপর ওই কর্মকর্তা সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। কিন্তু গাড়ি থেকে আসামিরা বের হয়ে তাকে অপদস্থ ও কিল ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেন। পরে তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে তারা নিজেদের গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই গাড়ি ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল দুটোই ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর অফিসারের স্ত্রী কর্তৃক স্থানীয় জনতা ও পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় অফিসারকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *