এবার বিক্ষোভ দমাতে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। পুলিশের নির্যাতনের পর এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এখন একেবারে অশান্ত।
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে কয়েক হাজার মানুষ।মিনেসোটায় শুরু হওয়া বিক্ষোভ ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, জজির্য়া, শিকাগো, ইলিনয়েস, আইওয়া, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, লুইজিয়ান, নিউইয়র্ক. ম্যাসাচুসেটস, মিশিগান, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলিনা, ওহিও, টেক্সাস, ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আগুন।
এদিকে, বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা মোতায়েনের জন্য সর্বনিম্ন ৪ ঘণ্টার নোটিশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এজন্য সেনাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ১৯৯২ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে দাঙ্গার ঘটনার পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে সেনা মোতায়েন হতে যাচ্ছে।
প্রথমদিকে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রুপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা মিনিয়াপোলিসের প্রধান পুলিশ স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দমাতে টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে পুলিশ, গ্রেফতার করা হয়েছে অসংখ্য মানুষকে।
এদিকে, ডেট্রয়েটে বিক্ষোভের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৯ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। নর্থ ক্যারোলিনা এবং নিউইয়র্কের সেনাবাহিনীর সদস্যদের মিনিয়াপোলিসে মোতায়েনের জন্য অবশ্যই চার ঘণ্টার মধ্যে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড নিঃশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’ এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তেই। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ।