fbpx
হোম আন্তর্জাতিক এবার করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় বিস্ময়কর সাফল্য !
এবার করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় বিস্ময়কর সাফল্য !

এবার করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় বিস্ময়কর সাফল্য !

0

করোনা চিকিৎসায় বিস্ময়কর সাফল্য দেখাল পরজীবীনাশক ওষুধ ইভারমেকটিন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে এ ওষুধ। তাতে যে সাফল্য পাওয়া গেছে তা এককথায় ‘বিস্ময়কর’।

এমনকি বাংলাদেশেও করোনা চিকিৎসায় এ ওষুধ ব্যবহারে সাফল্য পাওয়া গেছে। পরজীবী-বাহিত সংক্রামক চিকিৎসায় এ ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারির এ সময়ে সার্স থেকে শুরু করে করোনা চিকিৎসায় এটি হবে একটি নতুন সম্ভাবনা। বিভিন্ন দেশে এ ওষুধ ব্যবহারে যে সব ডাক্তার জড়িত তারা বলছেন, ইভারমেকটিন প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই রোগীর জীবানু সংক্রমণ কমতে শুরু করে। এটি এখনও করোনা চিকিৎসায় অনুমোদিত না হলেও ডাক্তাররা বলছেন, ফলাফল ‘নাটকীয়’।

যুক্তরাষ্ট্রের পাম বিচ কাউন্টিতে জরুরি মেডিক্যাল চিকিৎসক ডা. পেটার এইচ হিবার্ড গত শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা আশাবাদী করোনায় চিকিৎসায় এ ওষুধের দারুণ সম্ভাবনা আছে। আশা করছি আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কভিড-১৯ চিকিৎসায় এটি যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পাবে। তিনি জানান, অনেক দেশেই এটি চিকিৎসকদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। বলেন, ‘মৃত্যু শয্যায় থাকা রোগীকেও এটি সুস্থ করে তুলতে পারে।’ তিনি জানান, পরজীবীনাশক এ ওষুধ রোগীদের প্রথমে মুখে এক ডোজ দেয়া হয়। তার ৭ দিন পর আরেক ডোজ দেয়া হয়।

এন্টিভাইরাল রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার ডাক্তাররা জানান, টেস্টটিউবে দেখা গেছে এ ওষুধ জীবাণুকে সমূলে ধ্বংস করে দেয়। গত সপ্তাহে জ্যঁ-জ্যাক রাজটের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউর্ড হেলথ মেডিক্যাল সেন্টারের একদল চিকিৎসক ইভারমেকটিন এর ওপর একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। তাতে তারা বলেছেন, ২৫০ জন করোনা রোগীর ওপর পরীক্ষা করে নাটকীয় ফলাফল আমরা পেয়েছি। রোগীরা সুস্থ হতে শুরু করে এ ওষুধ প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই। এতে মৃত্যু শয্যায় থাকা রোগী ২৪ ঘন্টায় স্থিতিশীল হয়েছে এবং এক সপ্তাহ পর হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম তাঁর একজন সহযোগী চিকিৎসককে নিয়ে প্রায় দেড় মাসের গবেষণায় এ ওষুধে সাফল্য পেয়েছেন। ডা. আলম কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁরা ইভারমেকটিনের সিঙ্গল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মাত্র তিন দিনে ৫০ শতাংশ লক্ষণ কমে যাওয়া আর চার দিনে করোনাভাইরাস টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসার বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছেন।

ডা. তারেক আলম বলেন, ‘এটি আমাদের কাছে রীতিমতো বিস্ময়কর লেগেছে। আরো আগে যদি আমরা ওষুধ নিয়ে কাজ করতাম, তবে এত দিনে হয়তো অনেককে হারাতে হতো না।’ তিনি বলেন, ‘এই ওষুধ দুটি এর আগেও সার্স মহামারির সময় ব্যবহার করা হয়েছিল।

আমি নিশ্চিত করেই বলছি, এই ওষুধ দুটির সম্মিলিত ব্যবহারে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্য দুটি ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও রেমডিসিভিরের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর ফল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে এই ওষুধ নিয়ে ভারতে গবেষণা শুরু হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬০ জন রোগীর ওপর গবেষণা করেছি। তাতে আমরা এই সাফল্য পেয়েছি। আমাদের গবেষণার আওতায় ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ওষুধ দুটির সফল স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে।’

সূত্র: নিউজম্যাক্স

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
21

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *