fbpx
হোম অন্যান্য একের পর এক হাসপাতাল ঘুরেও ভর্তি মিলছেনা, বিপাকে রোগীরা
একের পর এক হাসপাতাল ঘুরেও ভর্তি মিলছেনা, বিপাকে রোগীরা

একের পর এক হাসপাতাল ঘুরেও ভর্তি মিলছেনা, বিপাকে রোগীরা

0

প্রসব যন্ত্রণায় কাতর স্ত্রীর বাচ্চা হওয়ার পর কোথাও ভর্তি করাতে না পেরে খাদিজার স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রীর আগে কিডনির কোনো জটিলতা ছিল না। সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর প্রসাবের রাস্তা বন্ধ। এখন ডাক্তার বলছেন, কিডনিতে সমস্যা হয়ে গেছে। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরছি। কিন্তু কোথাও আমি আমার স্ত্রীকে ভর্তি করাতে পারছি না।’

চাঁদপুরের বাসিন্দা সর্বশেষ কোথাও ভর্তি করাতে না পেরে অসহায় হয়ে পড়েন। এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতাল কিন্তু কোথাও ঠাঁই মেলেনি।

 

এদিকে ক্যান্সার আক্রান্ত ৫৫ বছর বয়সী ফরিদ মিয়ার অবস্থাও একই। ফরিদের ছেলে ইব্রাহীম  বলেন, ‘আমার আব্বার পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। যন্ত্রণায় চিৎকার চেঁচামেচি করেছেন। আব্বাকে ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় ডাক্তাররা বলেছেন। আমি আব্বাকে নিয়ে মহাখালীর ক্যান্সার হাসপাতালে গিয়েছি। কিন্তু করোনার পরীক্ষা না করানোয় আব্বাকে ভর্তি করবে না বলে হাসপাতাল জানিয়ে দিয়েছে। পরে আমরা আসলাম ঢাকা মেডিকেলে। কিন্তু এখানেও আমার আব্বা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। করোনার পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি করবে না। তাই বাধ্য হয়ে আমার আব্বাকে আবার বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। যদি করোনার পরীক্ষা করাতে পারি, তাহলে আব্বাকে ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে যাব।’

 

একইভাবে ৬০ বছর বয়সী মো. বাবুলকেও এই হয়রানির শিকার হতে হয়। কয়েক বছর আগে তাঁর শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এখন হাঁটাচলা করতে পারেন না। গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁর শরীর খুবই। বৃহস্পতিবার রাত থেকে কথাও বলতে পারছেন না বাবুল মিয়া। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাবুল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসেন তাঁর মেয়ে সাথী আক্তার। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে স্ট্রেচারে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন বাবুল মিয়া।

কুমিল্লার খাদিজা আক্তার, ঢাকার ফরিদ মিয়া এবং বাবুলের মতো আরও কয়েকজন রোগী ভর্তির সুযোগ না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অন্যত্র চলে যান। এসব রোগী এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যালাইড মেডিসিন ডিপার্টমেন্টকে করোনায় রুপান্তরিত করার পরিপ্রেক্ষিতে যারা নন করোনা রোগী, যাদের ডায়বেটিকস আছে, হাইপার টেনশন আছে, এসব রোগীগুলোকে তো আমরা নিচ্ছি না। এটা তো অনেক আগের সরকারি নির্দেশনা।

পরিচালক এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় সাত’শ করোনা রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর বাইরে ননকোভিড এক হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্দেশের সুফল যদি মানুষ না পায়, তাহলে সেই নির্দেশের কোনো মূল্য নেই। প্রত্যেক হাসপাতালে একটা কাউন্টার থাকা উচিত। তাদের কাছে অন্যান্য হাসপাতালের তথ্য থাকবে। যে হাসপাতালে রোগী আসবে, সেই হাসপাতালে যদি ছিট খালি না থাকে, তাহলে তারা অন্য হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং রোগীর ভর্তির ব্যবস্থা করবে বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *