ঈদে শপিংমলগুলোতে পণ্যের অনিয়ম পেলেই কঠোর ব্যবস্থা: ভোক্তার ডিজি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, এবারের ঈদে শপিংমলগুলোতে কাপড়ের মান, দাম, বিক্রয় পরবর্তী সেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তৈরি পোশাক/কাপড় ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ভোক্তার ডিজি বলেন, বিদেশি পোশাক ও প্রসাধনীর গায়ে আমদানিকারকের নাম ও সিল থাকতে হবে। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) আমদানিকারকের হতে হবে, বিক্রেতারা সেটা নির্ধারণ করতে পারবে না। নকল পণ্যের বিষয়েও সতর্ক থাকবেন। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই সবাই আইন মেনে ব্যবসা করুক। ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান। আশা করি, কাপড় ব্যবসায়ীরা মূল্য ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভোক্তাদের স্বস্তি দেবেন।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাপড়ের গুণগত মান যেন ভালো থাকে এবং বিদেশি যারা আসেন তারা যেন কাপড়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারেন। কাপড়ের প্রাইজ ট্যাগ যেন ফ্যাক্টরিতে লাগানো হয়, শোরুমে প্রাইস ট্যাগ লাগানো যাবে না।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে একই পোশাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাড়িয়ে দেওয়া, একটি পোশাকে বিভিন্ন দামের প্রাইজ ট্যাগ লাগানো, সিট কাপড়ের ক্ষেত্রে মিটারের পরিবর্তে গজের ব্যবহার, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, আসল বলে নকল কাপড় বিক্রি করা- এসব অনিয়ম দেখতে পেয়েছি।
সভায়- রেডি মেড গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে মোড়কের গায়ে এমআরপি না লেখা, লেখা থাকলে সেটা ঘষামাজা/কাটাকাটি করে বেশি মূল্য নির্ধারণ করা, পুরোনো মূল্যের ওপর নতুন স্টিকার লাগিয়ে বেশি মূল্য নেওয়া, ১০০ শতাংশ কটন ঘোষণা দিয়ে ১০০ শতাংশ কটন না দেওয়া, কাটা ফাটা পোশাক বিক্রি করা এবং সময়মতো পরিবর্তন করে না দেওয়া, ভোক্তাদের পেমেন্টের ক্ষেত্রে লম্বা লাইনে অপেক্ষমাণ না রাখা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করা হয় বৈঠকে।
এ সময় অধিদফতরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদফতরের উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন।