ইসরায়েলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী তুরস্ক !
সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করেছে এই তিন দেশ। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এর মধ্যেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে তোড়জোড় শুরু করেছে তুরস্ক। ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে ইতোমধ্যে তেল আবিবে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে দেশটি। তবে এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে কেন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করতে তুরস্ক এই তোড়জোড় !
মার্কিন গণমাধ্যম আল-মনিটর জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গবেষক উফুক উলুতাসকে রাষ্ট্রদূত করে তেল আবিবে পাঠিয়েছে তুরস্ক। উলুতাস পেশাদার কূটনীতিক না হলেও তিনি তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা বিভাগের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।
তুরস্কের পরিসংখ্যান বিভাগের হিসাবে, গত আট বছরে প্রতিবছর বাণিজ্য হয়েছে ৬ বিলিয়ন ডলারের মতো। চলতি বছরের গত ১০ মাসে দেশ দু’টির মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে তুরস্ক যেভাবে ইসরায়েলকে কাছে টানতে চাইছে তাতে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশের বাণিজ্য আরও বেড়ে যাবে।
তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান শুধু বাণিজ্যের কথাই ভাবেননি। বাণিজ্যিক ও ভূরাজনৈতিক সুবিধা পেতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সম্প্রতি ইসরায়েলের দিকে ঝুঁকেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদনা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে নিয়েছে। ফলে ইসরায়েলও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
আল-জাজিরাকে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক লিসেল হিনৎজ এ নিয়ে বলেন, এরদোয়ান নিজেকে মুসলিমদের কথিত নেতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চান। মুসলিমদের এ আবেগকে কাজে লাগিয়ে তিনি দেশে ও দেশের বাইরেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।