ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার করছেনা যুক্তরাষ্ট্র
ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারে বাগদাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানি প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানি যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।
এদিকে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী ইরান ও মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন সহিংসতার কেন্দ্রভূমি হওয়ার আশঙ্কা করছে ইরাক।
গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের ভোট মোতাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে ফোন করে সেনা সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ইরাকি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি। পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুতি নিতে প্রতিনিধি পাঠাতে পম্পেওকে বলেছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতি যথাযথ হওয়ায় তাদের প্রত্যাহারে মার্কিন প্রতিনিধি পাঠানো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। মুখপাত্র মর্গান ওরটাগুস এক বিবৃতিতে বলেন, ইরাক ও মার্কিন সরকারের মধ্যে কেবল নিরাপত্তা সংক্রান্তই না, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অংশীদারত্ব নিয়েও আলোচনা করতে হবে।
গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি একটি আধা সামরিক বাহিনীর কমান্ডার হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে বুধবার ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।