ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ, আগাম নির্বাচনের ঘোষণা
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাশিম খান সুরি। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশনও মুলতবি করেছেন।
এই ঘটনার পর জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের জন্য গর্ভনরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তানের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, রোববার ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে শুরু হয় অধিবেশন। অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে সরাসরি তা খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার। আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত করে দেন তিনি।
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের পর আপাতত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ রক্ষা করলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান।
গত ৮ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধীদলগুলো। ওই প্রস্তাবের ওপর পরের ৯ মার্চ ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় পরিষদের এক জন সদস্যের মৃত্যুর কারণে ২৮ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবির ঘোষণা দেন স্পিকার আসাদ কায়সার।
এরপর ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর ৩১ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করেন ডেপুটি স্পিকার কাশিম খান সুরি।
পূর্ব নির্ধারিত ৩১ মার্চ অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার তা ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখেন।
অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর ইমরান খান বারবার বলেছেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক, আমি পদত্যাগ করব না। আমি শেষ বল পর্যন্ত খেলব। আমি অনাস্থা ভোটের একদিন আগে তাদের চমকে দেব।’
৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ইমরান খানকে ১৭২ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তার দল পিটিআইয়ের সদস্য সংখ্যা ১৫৫। তবে দলের কয়েকজন সদস্য এবং জোট শরীকরা ইমরানের পক্ষ ত্যাগ করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারতে হয় তাকে।
আজকে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে ইমরানে বিরুদ্ধে ১৭৬ জন সদস্য ভোট দেওয়ার প্রস্তাতি নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম ডন।