আসামে নাগরিকত্ব হারিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত ২৭
এদিকে বিরোধীদের চাপে বিজেপি সরকার এনআরসি কার্যকর না করলে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।
ভারতের আসামে জাতীয় নাগরিক তালিকা নিয়ে সংকট দিন দিন ঘনীভূত হচ্ছে। রাজ্যটির বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে বন্দিশালা। বিদেশি আখ্যা দিয়ে বহু বাসিন্দাকে এ বন্দি শিবিরগুলোতে আটকে রাখা হয়েছে। অভিযোগ মিলেছে, সেখানে তারা নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছেন। গণমাধ্যম জানায়, তেজপুর, গোয়ালপাড়া, শিলচর, ডিব্রুগড়, কোকড়াঝাড় ও জোরহাট মিলিয়ে মোট ছয়টি কারাগারে অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে বন্দিদের রাখা হয়েছে। এগুলোতে অক্টোবর পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় উদ্বেগ বেড়েছে সব মহলে।
আসামে এমন সংকটের মধ্যে বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীদল কংগ্রেস। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে আসামে। আগামী ৫ থেকে ১৫ নভেম্বর তারা আসামসহ সেভেন সিস্টার্সের রাজ্যগুলোতে সফর করবেন। ফিরে এসে রিপোর্ট জমা দেবেন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর কাছে।
সমালোচনার মধ্যেই বিজেপি তার মূল সংগঠন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-আরএসএস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে দুই পক্ষের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আরএসএস নেতারা বিজেপিকে ভারতজুড়ে এনআরসি কার্যকরের আহ্বান জানান। যদি বিজেপি এ নিয়ে ঢিলেঢালা আচরণ করে তাহলে চাপ অব্যাহত রাখা হবে বলে জানানো হয়। একই সুরে কথা বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বলেন, তার রাজ্যে অচিরেই এনআরসির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর জন্য বিজেপি ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, তার রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে তা সহ্য করা হবে না।