আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে: যুব মহিলা লীগ নেত্রী আরফা মাহমুদ লিনা
‘আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে’- এমনটাই বলেছেন সদ্য সাময়িক বহিষ্কার হওয়া জামালপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সম্পাদক আরফা মাহমুদ লিনা। বহিষ্কারের বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাকে যে অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেই অভিযোগে আমি কখনও সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।’
লিনা আরও বলেন, ‘বহিষ্কারের আগে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সতর্কও করা হয়নি। সরাসরি আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের চিঠি হাতে পাওয়ার পর সেখানে লেখা ছিল, নৌকার বিরোধিতা করার কারণে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, কিন্তু আমি নৌকার বিরোধিতা করিনি। কেন্দ্রে এক মেম্বার সিল মারতে আসলে আমি সেখানে বাধাঁ দিয়েছিলাম।’
তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় জামালপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সম্পাদক আরফা মাহমুদ লিনাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ইসলামপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গাইবান্ধা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন মো. মাকসুদুর রহমান আনসারী এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া মার্কায় নির্বাচন করেন মো. আব্দুর রাজ্জাক। যুব মহিলা লীগের নেত্রী লিনা বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন।
এ বিষয়ে জেলা যুব মহিলা লীগের দপ্তর সম্পাদক শারমিন আক্তার বলেন, উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণা এবং মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার কারণে আরফা মাহমুদ লিনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ নিয়ে কেন্দ্রী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল বলেন, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় তাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। যেহেতু লিনা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।