আবরার হত্যার সঠিক বিচার হয়নি: আসামিপক্ষের আইনজীবীরা
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী মাহাবুব আহমেদ।
তিনি বলেন, এ মামলায় যারা মাস্টারমাইন্ড ছিল তাদের এ মামলায় আনা হয়নি। এ মামলায় বুয়েটের যে অবহেলা ছিল সেটা আমরা যুক্তিতর্কসহ উপস্থাপন করেছি কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক সে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেনি। মামলায় প্রত্যেকে আসামি করেছেন আদালত।
এ ছাড়া এ মামলায় যে ফুটেজের কথা বলা হয়েছে সেটার সম্পূর্ণ ফুটেজ আসেনি। আমরা আদালতের কাছে উপস্থাপন করেছি এ মামলায় একদিকের ওপর নির্ভর করে তিনি সাজা দিতে পারে না। কিন্তু বিচারক পাঞ্জাবের একটি ঘটনাকে সামনে এনে তিনি রায় ঘোষণা দিয়েছেন বলেন জানান মাহবুব আহমেদ।
মাহবুব আহমেদ বলেন, আদালতের কাছে আমরা আসামিপক্ষ থেকে যে রুলিংগুলো উপস্থাপন করছিলাম সেটার একটাও বিচারে আনেননি। পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে বোঝা যাবে যে তিনি আমাদের বিষয়গুলো উনি উপস্থাপন করেছেন কি না।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, আমি বলতে চাই এ মামলায় অনেক সাক্ষীর জবানবন্দির নাম নেই। তারপরেও ওই মামলায় আসামিদের সাজা দিয়েছেন। আমরা মনে করি বিচারটা ঠিক হয়নি তাই আমরা এ আসামিদের পক্ষে উচ্চ আদালতে যাব।
তিনি আরও বলেন, এ মামলায় মাস্টারমাইন্ড কাদের উল্লেখ করা হয়েছে জানতে চাইলে আইনজীবী বলেন, এ মামলায় চার্জশিটে উল্লেখ আছে যে বড়ভাইদের নির্দেশে কাজটি করা হয়েছে এ বড়ভাই কারা ছিল। এসব বড় ভাইদের তদন্তে আনা হয়নি।
এদিন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল, আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া, আবদুস সোবহান তরফদার, প্রশান্ত কুমার কর্মকার, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও মশিউর রহমান। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আমিনুল গণী, গাজী জিল্লুর রহমান, আজিজুর রহমান, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, দুপুর ১২টার দিকে তাদের আদালতের এজলাসে তোলা হয়। বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২০ মিনিটের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণা করেন।
পিপি আবু আব্দুল্লাহ আরও জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাদের আদালতে আনা হয়। এ মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের দুই বছর তিন মাস পর এ মামলার রায় হলো। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চেয়েছিল আবরারের পরিবার। ২৫ আসামির সবার ফাঁসির দণ্ড আশা করেছিলেন তার বাবা ও মামলার বাদী বরকত উল্লাহ। তবে এ রায়ের পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।
গত ২৮ নভেম্বর ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় পরবর্তী ৮ ডিসেম্বর রায়ের জন্য তারিখ রাখেন বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।
Like
Like
Love
Haha
Wow
Sad
Angry