আফগানিস্তানে আইএসের অবস্থান বরদাশত করা হবে না:ইব্রাহিম রাইসি
আফগানিস্তানের আইএসের অবস্থান বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসকে আমাদের সীমান্তের পাশে ঘাঁটি গাড়তে এবং অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলে আঘাত হানতে দেব না। ইরানের প্রেসিডেন্ট এমন এক সময় এই কথা বললেন যখন আফগানিস্তানে আইএস তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগ মুহূর্তে গত ২৭ সেপ্টেম্বর কাবুল বিমানবন্দরে শক্তিশালী আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আইএস খোরাসান শখা এই হামলার দায় স্বীকার করে। এছাড়া সর্বশেষ শনিবার কাবুল ও জালালাবাদে পৃথক তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তালেবানের সদস্যসহ অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এর পেছনে আইএস দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার তাজিকিস্তান সফর শেষে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাইসি বলেন, আফগানিস্তানে আইএসের অবস্থান কেবল দেশটির জন্যই বিপজ্জনক নয়, তা এ অঞ্চলের জন্যও বিপজ্জনক। আফগানিস্তানের সঙ্গে ইরানের ৯০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ১৯৯৬ সালে তালেবান ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের স্বীকৃতি দেয়নি ইরান। তবে এবার ইরানের সুর অনেকটাই নরম। ইরানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ সমাধানে তালেবানকে অবশ্যই অংশ নিতে হবে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। এর দুই সপ্তাহ পর তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে। পশ্চিমা বিশ্ব তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে না বললেও পাকিস্তান ছাড়াও চীন, ইরান ও রাশিয়া তালেবানের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভব দেখাচ্ছে। তালেবান শাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দিয়েই তাদের সঙ্গে ছয়টি দেশ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। সেগুলো হলো পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ইরান। আফগানিস্তানে এই রাষ্ট্রগুলোর বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং এমনকি পরস্পরবিরোধী স্বার্থ রয়েছে।
যদিও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আফগানদের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কেবল একটি জাতিগোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল থেকে সরকার গঠন করলে আফগানিস্তানের সমস্যা সমাধান হবে না। তালেবান সরকার নিয়ে রাশিয়া ও ইরান মনে করছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কৌশলগত লক্ষ্য যেভাবে অর্জন করেছে, একইভাবে মধ্য এশিয়াতেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে পরাজিত করতে পারবে।