fbpx
হোম অন্যান্য আপনারা বড় দল, আপনাদের বড় দায়িত্ব: বিএনপিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরী
আপনারা বড় দল, আপনাদের বড় দায়িত্ব: বিএনপিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরী

আপনারা বড় দল, আপনাদের বড় দায়িত্ব: বিএনপিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরী

0

বিএনপির উদ্দেশ্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আপনারা বড় দল, আপনাদের বড় দায়িত্ব আছে। দিন চলে যাচ্ছে, প্রতিটা দিন এখন মূল্যবান।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারকে অবশ্যই যেতে হবে উল্লেখ তিনি বলেন আমাদের মূলকাজ হচ্ছে রাস্তায় নামা। সম্মিলিতভাবে নামতে হবে। এখানে বিএনপির একটা বড় দায়িত্ব আছে। বিএনপিকে আরেকটু চিন্তাভাবনা করে আগাতে হবে।বিএনপির কাছে আবেদন আপনারা সবার সাথে বসেন। সবাইকে নিয়ে করেন। যেভাবেই হোক সবাইকে নিয়ে রাস্তায় নামেন।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্যে নগর হাসপাতালে মেজর হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপতি ‘এম এ জি ওসমানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করে জেনারেল ওসমানী ফাউন্ডেশন।

জেনারেল ওসমানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. জাহিদ- এ- রেজার সভাপতিত্বে ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মজিবুর রহমান ও মহিববুল্লা বাহার প্রমূখ।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই সরকার মনে করে তারা খুব চালাক। কাউয়া যখন মরিচ লুকায তখন সে চোখ বন্ধ করে লুকায়। মনে করে পৃথিবীর কেউ তাকে দেখছে না। যে আইজিপিকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেই আইজিপিকে জার্মানিতে পাঠাচ্ছে রং বোঝার জন্য। উনি রঙের কি বোঝেন? এটা করা হচ্ছে আমেরিকাকে বোঝানোর জন্য যে তুমি যেতে না দিলে আমরা ইউরোপে যাচ্ছি। এইসব চালাকি করে কোনো লাভ হবে না।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারকে অবশ্যই যেতে হবে। বিএনপিকে দলীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে বলেও পরামর্শ দেন তিনি।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যে গৃহবন্দী হয়ে ‘র’ আর মোসাদ পরিবেষ্টিত। উনি দিনের আলো দেখতে পান না। উনার বাইরে যাওয়াতে কোনো অসুবিধা নাই কিন্তু উনি উনার দলের লোকের সঙ্গেই দেখা করেন না। প্রথমবার যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন তখন সপ্তাহে একটা দিন জনগণের সঙ্গে দেখা করতে পারত। জনগণের বক্তব্য শুনতেন। এখন জনগণ দূরে থাক উনার পার্টির লোকরা দেখা করতে পারেন না।

তিনি বলেন, তিন মাসের তত্ত্বাবধাযক সরকার কিছু করতে পারবে না। সামগ্রিক পরিবর্তনের জন্য জাতীয় সরকার বলি বা সর্বদলীয় সরকার বলি,,,,। বর্তমান সরকার থাকলে ন্যায কিছু হবে না।

নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সার্চ কমিটি যে ১০ টি নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিবেন তা আগেই প্রকাশ করতে হবে। যাতে জনগণ বক্তব্য দিতে পারে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে
সরকারের সমালোচনা করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, এরা এমন একটা সরকার, যারা রাতকে দিন বলে। রাতকে দিন বলে। দিনের ভোট যারা রাতে করে তারাত রাতকে দিন বলবেই। এই সরকারকে যেতে হবে৷ যেতেই হবে।
আজ হোক-কাল হোক। চিরদিন থাকতে পারবেন না।

জেনারেল ওসমানীর জীবনের নানা দিক ও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান তুলে ধরেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি বলেন বলেন, ওসামানী ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। জেনারেল ওসমানী যেনো ইতিহাস থেকে হারিয়ে না যায় তার জন্য আজকের মত উদ্যোগ গ্রহণ কতে হবে এবং ইতিহাসের সঠিক জায়গায়তে ওনাকে স্থান দিতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদাসহ যারা জনগনের ভোটাধিকার হরণ করেছে দিনের ভোট রাতে করেছে, সে অপরাধের জন্য তাদেরকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।এম এ জি ওসমানী জীবনে নীতির সাথে আপোষ করেন নাই। ৭৫ সালে শেখ মজিবের বাকশাল ও সংসদ হতে পদত্যাগ করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।তিনি আজীবন ন্যায়ের পথে ছিলেন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এতদিন নির্বাচন কমিশন গঠন আইন ছিল না। আইনটা করার দরকার ছিল, করেছে। এই আইন নিয়ে কেউ কথা তুলছে না। এই আইন নিয়ে কথা তোলা দরকার। এই আইনে নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষমতা শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হাতে। সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে নাম দিবেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নিয়োগ দিবেন। এর মধ্যে নতুনত্বের কিছু নেই। বরং সরকার আগে যেটা করেছে সেটাকে আইনসিদ্ধ করলেন। আন্তর্জাতিকভাবে তারা চাপে রয়েছে বলে এই আইন করা হয়েছে। সামনে যে আরেকটা ভোট ডাকাতির নির্বাচন করবেন সেটাকে আরেকটু আইনের মোড়ক দিলেন। এটা যে তামাশা তা পরিস্কারভাবে প্রমাণিত।

জেনারেল ওসমানীর মৃত্যৃবার্ষিকীর প্রসঙ্গে
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, আজকের এই দিনটি রাষ্ট্রিয়ভাবে হওয়ার উচিত ছিল। সেনাকুঞ্জে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেখানে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল সেনাপ্রধানকে। কিন্তু রাষ্ট্রিয়ভাবে পালন করা হয় না। প্রতিহিংসার কারণে এই দিনগুলো রাষ্ট্রিয়ভাবে পালন করা হয় না।

নির্বাচন কমিশন গঠন নামে ফাজলামির করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্রেট হোল্টাররা তাদের মতামত দেন নাই। এই আইনে নির্বাচন কমিশন বিষয়ে কোনো সমাধান হবে না। বরং পরিস্থিতি আরো জটিল করা হবে।
কারা নির্বাচন কমিশনার হবে? কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবে তা প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানিটিব্যাগে লিস্ট করা আছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই না আমাদের অভ্যান্তরিন ব্যাপারে বাইরের কেউ এসে হস্তক্ষেপ করুক। কিন্তু দেশটা এখন যে সংকটের জায়গায় পড়েছে সেখানে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর মাধ্যমে এই সরকারের উপর একটা চাপ তৈরি করতে হবে। তারা যেনো কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারের সঙ্গে কাজ না করে। যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। গত ১২ বছর সংগ্রাম করছে, হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদের পাশে যেনো উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো দাঁড়ায়। সে আবেদন দেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর কাছে করতে পারি।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *