আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু
২০১৭ সালে দেশটিতে সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাড়ি জমায়। এরপরপরই গণহত্যার অভিযোগে ওআইআসির সহায়তায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগ দায়ের করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালানোর প্রমাণ পায় জাতিসংঘও। এসব অভিযোগে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংসহ দেশটির সেনাবাহিনীর ৫ জেনারেলকে অভিযুক্ত করে সংস্থাটি। এদিকে এর আগে ২০১৯ সালে হেগের আদালতে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করলেও এবার তার জায়গায় অন্য প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে জান্তা সরকার।
গত ১৯ জানুয়ারি আইসিজে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে ২১, ২৩, ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এই শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে।
মিয়ানমারে গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হয় অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকার। এরপর তার অনুসারীরা একটি ছায়া সরকার গঠন করে, যা প্রবাসে থেকে কাজ করছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের খবরে বলা হয়, রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মামলা বিচারের এখতিয়ার নিয়ে অং সান সু চির দলের নেতৃত্বে গঠিত মিয়ানমারের ছায়া সরকার তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করেছে।
আইসিজের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান কভিড-১৯ মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে হাইব্রিড ফর্মেটে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালতের কিছু সদস্য গ্রেট হল অব জাস্টিসে উপস্থিত থেকে এবং বাকিরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মামলার দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা সরাসরি অথবা ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া কূটনৈতিক কোর, গণমাধ্যম কর্মী ও জনসাধারণ আদালতের ওয়েবসাইট ও ইউএন ওয়েব টিভির সরাসরি ওয়েব কাস্টের মাধ্যমে এই শুনানি দেখতে পারবেন।