fbpx
হোম আন্তর্জাতিক আজারবাইজানের সংঘাতে আরও ২১ সেনা কর্মকর্তার প্রাণহানি
আজারবাইজানের সংঘাতে আরও ২১ সেনা কর্মকর্তার প্রাণহানি

আজারবাইজানের সংঘাতে আরও ২১ সেনা কর্মকর্তার প্রাণহানি

0

টানা অষ্টম দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে নাগোরনো-কারাবাখে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার সংঘাত। সোমবার বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড নাগোরনো-কারাবাখের জাতিগত আর্মেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, আজারবাইজানের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘাতে আরও অন্তত ২১ সেনা কর্মকর্তার প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২২৩ জন নিহত হলেন।

আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল সোমবার আবারও আজারি বোমা হামলার কবলে পড়েছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।

সেখানকার স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, সংঘাতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি হামলায় ১৮ জন বেসামরিক নাগরিকেরও প্রাণহানি ঘটেছে। আর্মেনিয়ার হামলায় সামরিক বাহিনীর কোনও সদস্য হতাহত হয়েছে কিনা তা এখনও প্রকাশ করেনি আজারবাইজান। তবে দেশটি বলছে, ২৫ বেসামরিক নাগরিককে হারিয়েছে তারা। আর্মেনীয় ভূখণ্ডে দুই বেসামরিকও নিহত হয়েছেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিবাদপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখের মালিকানা ঘিরে প্রতিবেশি দুই দেশে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯০ এর দশকের পর এই অঞ্চলে এত বড় সংঘাত আর কখনও দেখা যায়নি। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভূক্ত দেশ দুটির মাঝে নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে কয়েক দশকের পুরনো সংঘাত রয়েছে। আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত জাতিগত আর্মেনীয়দের শাসনাধীন নাগোরনা-কারাবাখকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অঞ্চল হিসেবে মনে করে আজারবাইজান।

অঞ্চলটির দখল ফিরে পেতে প্রয়োজনে সব ধরনের সামরিক উপায় অবলম্বনের হুমকি দীর্ঘদিন ধরে দিয়ে আসছিল দেশটি। সংর্ঘষের ফলে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত আর্মেনিয়া এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আজারবাইজানের সঙ্গে বিশ্ব মোড়লদের কূটনীতিতেও নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। রাশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। আঞ্চলিক অপর পরাশক্তি তুরস্ক বলেছে, ঐতিহ্যবাহী মিত্র আজারবাইজানের প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে।

আন্তর্জাতিক আইনে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল আজারবাইনের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগত আর্মেনীয়রা আজারি শাসন প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আর্মেনিয়ার সমর্থনে নিজস্ব শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছে নাগোরনো-কারাবাখ।

এই অঞ্চলে দুই পক্ষের সংঘাতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু এবং লাখো মানুষ বাস্ত্যুচুত হওয়ার পর ১৯৯৪ সালে দ্বিপাক্ষিক অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয় আর্মেনিয়া-আজারবাইজান।

 

 

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *