আউশ ধান চাষে রংপুরে রেকর্ড
বিগত ২০ বছরের মধ্যে চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে রংপুর অঞ্চলে। এবার আবাদ হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ ৬৩ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ হাজার ৬৭৫ হেক্টরের চেয়ে ৪ হাজার ১৫ হেক্টর বেশি। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ বেশি।
আউশ আবাদের এলাকা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে হেক্টর প্রতি গড় ফলন। ২০১৭-১৮ মৌসুমে হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদন হয়েছিল ২.৯৮ মে. টন, গত ২০১৮-১৯ মৌসুমে তা বেড়ে হয়েছে হেক্টর প্রতি ৩.০৪ মে. টন। এ বছর হেক্টর প্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৩.০৭ মে. টন চাল উৎপাদন হলে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলা থেকে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৮ মে. টন চাল চলতি আউশ মৌসুমে উৎপাদিত হবে, যা মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ হাজার ৫৯ মে. টন বেশি।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করে বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে আউশ আবাদকে জনপ্রিয়করণের জন্য বর্তমান সরকারের নানান পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে আউশ আবাদ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রংপুর অঞ্চলে রবি ফসল আবাদের পরে পরবর্তী রোপা আমন আবাদের আগে মে মাস থেকে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত সময়ে পানি সাশ্রয়ী বৃষ্টিনির্ভর আউশ আবাদ করা যায়। বিগত কয়েক বছরে সরকারি প্রণোদনায় বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা, উচ্চ ফলনশীল জাতের আউশ ধানের বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়া এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ও নিবিড় মনিটরিং এর ফলে সেচ সাশ্রয়ী আউশের আবাদে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। যথাসময়ে কৃষি উপকরণ বিতরণ করায় আবাদের উপর তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এবং এতে কাঙ্খিত ফলন ও উৎপাদন পাওয়া গেছে।