fbpx
হোম ক্রীড়া অভিষেক হলো লিওনেল মেসির
অভিষেক হলো লিওনেল মেসির

অভিষেক হলো লিওনেল মেসির

0

বদলি হিসেবে মাঠে নামছেন। অথচ প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরা উচ্চকিত, উচ্ছ্বসিত। গলা ফাটিয়ে ডাকলেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে। এমন দৃশ্য ফুটবলে খুবই বিরল। কিন্তু ফুটবলারটি নাম যখন লিওনেল মেসি, তখন সব কিছু হয় ওলটপালট, অবতারণা হয় নতুন দৃশ্যের।

রোববার রাতে তেমনই দেখা গেল। ফরাসি লিগ ওয়ানে এমবাপের জোড়া গোলে রেঁসের বিরুদ্ধে জিতেছে পিএসজি। এই খবরের চেয়ে বড় খবর, এই ম্যাচেই পিএসজির জার্সিতে অভিষেক হলো লিওনেল মেসির। বার্সার ইতিহাস পেছনে ফেলে পিএসজির হয়ে বল নিয়ে দৌড়ালেন মেসি। গোলের দেখা পাননি, কিন্তু জিতে নিলেন মানুষের মন।

রেঁসের বিরুদ্ধে মেসির অভিষেক হবে, এটা অনেকটাই ছিল অনুমিত। তবে নিয়মিত একাদশে নাম না থাকায় অনেকে ছিলেন হতাশ। সবার চোখ ছিল সাইড বেঞ্চের দিকে। কখন মেসি নামেন।
প্রথমার্ধ শেষ। দ্বিতীয়ার্ধেরও অনেকটা সময় পার হয়ে গেল। এর মধ্যে দুই গোল দিয়ে পিএসজির জয়ের রাস্তা মসৃণ করেন এমবাপে। ৬৬ মিনিটে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। নেইমারের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি।

রেঁসের স্তাদ অগোস্ত-দোলন স্টেডিয়াম তখন অনেকটা যেন দুলে উঠলো। গোটা মাঠ প্রকম্পিত হয়ে উঠল ‘মেসি’, ‘মেসি’ চিৎকারে। আর সেটা যতটা না পিএসজির ততটা বেশি রেঁসের ভক্তদের। মেসি নামলেন, খেললেন। ম্যাচ শেষে রেসের খেলোয়াাড়দের সাথে চলল অনেকক্ষণ ফটোসেশন।

রেঁসের সার্বিয়ান গোলকিপার প্রেদ্রাগ রাইকোভিচ আবার এককাঠি সরেস। নিজের শিশুপুত্রকে এ দিন মাঠে নিয়ে আসা রাইকোভিচ ম্যাচ শেষে ছেলেকে তুলে দিয়েছিলেন মেসির কোলে, তুলেছেন ছবিও। মেসি বলে কথা।

মাঠে নামার পাঁচ মিনিট পর একজনকে এড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে ফাউলের শিকার হন মেসি। কিছুক্ষণ পর প্রতিপক্ষের থেকে বল কেড়ে বাড়ান এমবাপেকে। তিনি নতুন সতীর্থকে ফিরতি পাস দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু মাঝপথে বাধা পায়। শেষ দিকে আরো একবার কড়া ট্যাকলের শিকার হন মেসি।

চার ম্যাচের সবকটি জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষেই পিএসজি। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে অঁজি।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *