অচলাবস্থা কাটিয়ে কুায়ালালামপুর এয়ারপোর্ট আবার স্বাভাবিক
আরাফাত রহমান, কুয়ালালামপুর
গত ২১ আগস্ট বুধবার রাত থেকে হঠাৎ করেই কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুটি টারমিনালেই নেটওয়ার্ক সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে দুটি এয়ারপোর্টের ফ্লাইটের তথ্য, ওয়েবসাইট, মোবাইল এ্যাপ, অটোমেটিক চেকইন মেশিন, চেকইন কাউন্টার, ব্যাগেজ পরিচালনা ব্যবস্থা সব কিছুই বিঘ্নিত হয়। সময়মত চেকইন করতে না পারায় যাত্রীদের ভিড় বাড়ে, অনেকেই বিমানে উঠতে পারেননি, বিমান ছাড়তে দেরি ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।
এয়ারপোর্ট পরিচালনা কর্তৃপক্ষ মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টস হোলডিংস বারহাদ (MAHB) যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে তাৎক্ষনিকভাবে ১ হাজার কর্মী নিয়োগ করে। তারা কম্পিউটার সিস্টেম বাদ দিয়ে কাগজ কলমে যাত্রীদের চেকইন ও ফ্লাইট পরিচালনা করা শুরু করেন। সাদা বোর্ডের মধ্যে মার্কার পেন দিয়ে লিখে ফ্লাইটের তথ্য দেয়া হয়। পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন, সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যাত্রীদের চার ঘন্টা আগে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যাত্রীদের জন্য ফ্রি খাবার সরবরাহ করে। অচল অবস্থা কাটাতে কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ মানুষের প্রচেষ্টা দেখে সোশাল মিডিয়াতে দেশি-বিদেশি যাত্রীদের প্রসংশাসূচক প্রচুর পোস্ট ও টুইট করতে দেখা গেছে।
মালয়েশিয়ান এভিয়েশন কমিশন ও ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি এ ঘটনার শুরু থেকেই নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সাইবার আক্রমনের কোন আলামত পাননি তারা। এয়ারপোর্ট পরিচালনা কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র বলেন- “এই আকস্মিক ঘটনা নিরসনে আমরা একাত্ব হয়ে কাজ করছি, এয়ারপোর্টের অবস্থা খুব বেশি খারাপ নয়। আমরা খুব দ্রুত সমস্যা নিয়ন্ত্রনে আনতে পেরেছি। বিগত দিনে ২০১৩ ও ২০১৮ সালে লন্ডন ও আয়ারল্যান্ডে এধরনের বিপর্য আমরা দেখেছি।”
এক বিবৃতিতে এয়ারপোর্ট পরিচালনা কর্তৃপক্ষ জানান, এয়ারপোর্টের সবগুলো ইউনিট ও সিস্টেম আগের অবস্থায় আনার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গতকাল ২৪ আগস্ট রাতে এয়ারপোর্টের চেকইন কাউন্টারগুলো স্বাভাবিক চলতে দেখা গেছে।