fbpx
হোম জাতীয় ২০২২ সালে বঙ্গবন্ধু টানেলে চলবে গাড়ি, কাজ শেষ ৬১ ভাগ !
২০২২ সালে বঙ্গবন্ধু টানেলে চলবে গাড়ি, কাজ শেষ ৬১ ভাগ !

২০২২ সালে বঙ্গবন্ধু টানেলে চলবে গাড়ি, কাজ শেষ ৬১ ভাগ !

0

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সুড়ঙ্গ বানাতে মাটি কেটে সামনে চলছে দৈত্যাকার টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম)। প্রকল্প নির্মাণ কাজের অংশ হিসেবে টিবিএম এর পেছনে একে একে সেগমেন্ট, রিং জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে টিউব। এ টিউবের ভেতর দিয়েই ২০২২ সালে চলাচল করবে গাড়ি। এ নিয়ে টানেলের নির্মাণকাজ ৬১ ভাগ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের নগরের পতেঙ্গা এবং আনোয়ারা প্রান্ত ঘুরে দেখা গেছে, টিবিএম দিয়ে দ্বিতীয় টিউব তৈরির কাজ করা হচ্ছে। টানেল নির্মাণের অংশ হিসেবে শুধুমাত্র টিউবেই কর্মযজ্ঞ সীমাবদ্ধ নয়, নদীর দুই তীরে সংযোগ সড়ক, উড়ালসেতু নির্মাণসহ বিশাল কাজ অনবরত চলছে। টানেল নির্মাণের জন্য দিন-রাত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী আর শ্রমিকরা কাজ করছেন।

প্রকল্প এলাকায় দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু টানেল তৈরির জন্য দ্বিতীয় টিউব নির্মাণের লক্ষ্যে টিবিএম দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কংক্রিটের সেগমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে রিং। চীনের জিয়াংসু প্রদেশের জেংজিয়ান শহরে টানেল সেগমেন্ট কাস্টিং প্ল্যান্টে তৈরি ১৯ হাজার ৬১৬টি সেগমেন্ট দুই টিউবে বসবে। এর মধ্যে প্রকল্প এলাকায় এসেছে ১৫ হাজার ৭৮৪টি সেগমেন্ট। অল্প দিনের মধ্যে পৌঁছাবে বাকিগুলোও।

এদিকে আনোয়ারা প্রান্তে টানেলের মুখ থেকে মূল সড়কে উঠতে ৭২৭ মিটারের একটি উড়াল সেতু তৈরি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এই উড়াল সেতুর সবগুলো পিলার স্থাপন শেষ হয়েছে। এখন শুরু হবে গার্ডার এবং স্ল্যাব তৈরির কাজ।

উড়াল সেতুর শেষ প্রান্ত থেকে আনোয়ারা চাতুরী চৌমুহনী পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোডের মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এই অ্যাপ্রোচ রোড দিয়েই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে উঠবে শিকলবাহা জংশন হয়ে টানেলের গাড়ি। অন্যদিকে পতেঙ্গা প্রান্তে সিটি আউটার রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং টানেলের প্রবেশ মুখে আধা কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক তৈরির কাজ চলছে। পাশাপাশি একই স্থানে ওয়ার্কিং শাফট ও কাট অ্যান্ড কভার নির্মাণকাজ চলছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ বলেন, প্রায় ৯০০ শ্রমিক দিন-রাত টানেল নির্মাণ প্রকল্পে কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে ৬০০ বাংলাদেশি ও ২৯০ জন চীনা নাগরিক।

তিনি আরো বলেন, টানেলের দুই টিউবের মধ্যে একটির কাজ শেষ। অন্যটি তৈরির কাজ চলছে। একই সঙ্গে সংযোগ সড়কসহ টানেল সংশ্লিষ্ট অন্য কাজগুলো এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রকল্পের ৬১ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ বলেন, এ গতিতে সবকিছু চললে ২০২২ সালের মধ্যেই টানেলের সব কাজ শেষ করা যাবে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করে টানেল গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এই টানেল নির্মাণকাজ শেষ হলে চার লেন দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এছাড়া ত্বরান্বিত হবে কর্ণফুলী নদীর পূর্বপ্রান্তের প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার উন্নয়ন। পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত চট্টগ্রাম শহর, চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরের সঙ্গেও স্থাপিত হবে উন্নত ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এতে কমে যাবে ভ্রমণের সময় ও খরচ। এছাড়া পূর্বপ্রান্তের শিল্পকারখানার কাঁচামাল, প্রস্তুতকৃত মালামাল চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দর ও দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন প্রক্রিয়া সহজ হবে। কর্ণফুলী নদীর পূর্ব প্রান্তের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের ফলে বিকশিত হবে পূর্বপ্রান্তে পর্যটনশিল্প।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *