আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেন না : প্রধানমন্ত্রী
আশা পূরণ হয়নি। বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে টাইগারদের। সেমিফাইনাল তো দূরের কথা, শেষ পর্যন্ত অষ্টম স্থানে থেকে বিদায় নিতে হয়েছে মাশরাফিদের।
তবে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর দল নিয়ে সমালোচনার মধ্যে খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে খেলোয়াড়দের কোনো দোষ দেখছেন না তিনি।
সোমবার (৮ জুলাই) গণভবনে চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রসঙ্গটি তুললে এ মত জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমি খেলাগুলো দেখেছি। চীনে বসেও খেলা দেখেছি। যাই, হোক আমার অফিসিয়ালরা ব্যবস্থা করেছিল, আমি দেখেছি। আমি বলবো, বাংলাদেশ কিন্তু খেলায় যথেষ্ট উন্নতি করেছে। আপনারা জানেন, বিশ্বকাপ পাওয়া একেকটা টিমের সঙ্গে খেলা কিন্তু কম কথা না। বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কিন্তু সেখানে অত্যন্ত চমৎকার ছিল। আমরা যে খেলতে পেরেছি এবং এতদূর যেতে পেরেছি এটা হল অনেক বড় কথা।
এবারের বিশ্বকাপে হেসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট। সঙ্গে বোলিংয়ে রেখেছেন বড় অবদান। শুধু বাংলাদেশের নয়, নিজের শেষ ম্যাচে যখন আউট হয়ে ফিরেছিলেন তখন টুর্নামেন্টেরই শীর্ষ রান সংগ্রাহক (৬০৬) ছিলেন সাকিব। আর বল হাতে মোস্তাফিজুর রহমান ৮ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়েছেন।
ক্রিকেটারদের সাহসী মানসিকতার প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা, আর আমাদের সাকিব আল হাসান, সে তো বিশ্বে একটা জায়গা করে নিয়েছে। মোস্তাফিজ একটা স্থান করে নিয়েছে। আমি দোষ দেব না। কারণ, খেলা এমন একটা জিনিস, অনেক সময় কিন্তু ভাগ্যও লাগে। সব সময় যে সবকিছু ঠিকমতো হবে, একই রকম হবে, সেটা নয়। ক্রিকেটাররা সাহসী মনোভাব নিয়ে মোকাবিলা করতে পেরেছে, আমি এটার প্রশংসা করি।
এতগুলো দেশ খেললো। তারমধ্যে চারটা দেশ সেমিফাইনাল খেলছে। তাহলে কি আপনারা বলবেন যে, সবাই খুব খারাপ খেলে গেছে? সেটা বলবেন? তাহলে আমরা আমাদের নিজেদের এত ছোট করি কেন? নিজেদের এত খারাপ বলি কেন? বরং এটা বলেন, যে এত জাদরেল জাদরেল দেশ যারা দীর্ঘদিন ধরে খেলে খেলে অভ্যস্ত তাদের সঙ্গে মোকাবেলা করে আমাদের ছেলেরা খেলেছে। আমাদের ছেলেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের কোনো অভাব দেখিনি। আমি নিজে খেলা দেখেছি। আমি আমার কাজে ফাকে খেলা দেখেছি। হয়তো পুরো ম্যাচ দেখতে পারিনি, কিন্তু, হয়তো এক ইনিংস দেখেছি। সুযোগ পেলে পুরোটা দেখেছি।
এখানে আমি ছেলেদের ধন্যবাদ জানাবো যে, তারা অনেক সহসের পরিচয় দিয়েছে। তাদের ভেতরে একটা আলাদা আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। ধীরে ধীরে এটা আরো উন্নতি হবে।
সেমিফাইনালে উঠতে না পারার জন্য খেলোয়াড়দের দোষারোপ করার একেবারেই পক্ষে নন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখানে দোষ দেওয়ার কিছু নাই। দোষ যদি দিতেই হয়, ওই চারটি দল বাদ দিয়ে বাকি সব দলকেই দোষ দেন। খালি বাংলাদেশকে দোষ দেবেন না। আমি আমার ছেলেদের কখনো নিরুৎসাহিত করি না। আমি বরং ফোন করে ওদের বলি, খেলো তোমরা, তোমরা ভালো খেলেছ। ৩৮১ রান তাড়া কর বাংলাদেশ ৩৩৩ রান করল বাংলাদেশ। আপনারা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে আপনারা খারাপ বলবেন কীভাবে? আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেন না।