লে. জেনারেল (অব.) হাসান সারওয়ার্দীকে সেনাসদর থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর দেওয়া বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনাসদর।
গতকাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, এনডিসির কমান্ড্যান্ট থাকাবস্থায় একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে সেনানিবাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
ফলে সেনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’র জন্য সেনানিবাস ও সেনানিবাসের আওতাভুক্ত সব স্থাপনা এবং সেনানিবাসের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যেমন- সিএমএইচ এ চিকিৎসা সেবা, অফিসার্স ক্লাব, সিএসডি শপ ইত্যাদিতে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ।
বলা হয়, লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, বীর বিক্রম সম্প্রতি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে সেনানিবাসে প্রবেশ এবং সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
উল্লেখ্য, তিনি লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর এনডিসির কমান্ড্যান্ট থাকাবস্থায় একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এনডিসিতে পরিচালিত বিভিন্ন কোর্সের সঙ্গে বিদেশে ভ্রমণকালেও অনেক মেয়েকে নিয়ে চলাফেরা করেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তার এই অশোভনীয় আচরণ এবং মেলামেশার ছবি কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হলে কর্তৃপক্ষ বিব্রত হয় এবং তাকে বিভিন্নভাবে উপদেশ দেওয়া হয়।
তিনি এলপিআরে থাকাকালীন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ১৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে প্রথম স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন এবং সেনা আইনবহির্ভূতভাবে মেসকিট (সামরিক পোশাক) পরে ২১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত এক মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে বিবাহ করেন। কিন্তু তিনি বিবাহের পূর্বে সেই মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ৩ নভেম্বর ২০১৮ থেকে একই বাসায় অনৈতিকভাবে অবস্থান করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর এ ধরনের আচরণ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর। এ ধরনের ঘটনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত অফিসার এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যদের মধ্যে নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে কাজ করে ও বিরূপ প্রভাব ফেলে। সামগ্রিক বিবেচনায় গত ১০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে উক্ত অফিসারকে সেনানিবাস ও সেনানিবাস আওতাভুক্ত এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।