হামলার দায়ভার নিয়ে ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি
গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রকে ডাকসু ভবনে নির্মমভাবে পেটানোর ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস । তার প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে এক সংহতি সমাবেশ আয়োজন করেন সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য ।
১. হামলার দায়ভার নিয়ে ঢাবি প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। ২. গায়েব হওয়া সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে ৩. হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বহিষ্কার করতে হবে। ৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিচার করতে হবে ৫. যদি নিরপেক্ষ বিচার করা না হয় তাহলে সারা দেশের ছাত্রদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামতে আমরা বাধ্য হবো ।
সংহতি জানাতে এসে ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রয়েছে দেশের স্বার্থের বাইরে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তার বিরুদ্ধে কথা বলা। যারা হামলা চালিয়েছে সবাই কোন না কোনভাবে বিভিন্ন মামলার আসামি । বলেন, যাদের মাধ্যমে এই হামলা ঘটানো হয়েছে এবং হামলার সময় সিসি টিভি ফুটেজও সরিয়ে ফেলা হয়েছে তা প্রমান করে যে, এগুলো সব পরিকল্পনা করে ঘটানো হয়েছে।
সমাবেশে সংহতি জানানো গণসংহতি আন্দোলনের মুখপাত্র জুনায়েদ সাকি বর্তমান আন্দোলনকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি ঢাবির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে ছাত্ররা কি কি বিষয়ে কথা বলবে, যা কখনই মেনে নেয়া যায়না।
এছাড়াও সমাবেশে সংহতি জানান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না , জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, আলোকচিত্র শিল্পী শহীদুল আলম, ঢাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাইদ ফেরদৌস ও ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকে ।
বক্তারা সবাই অতীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলনের সূত্র তুলে ধরে বলেন, ঢাবির ছাত্ররা কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নয় তারা কথা বলবেন সারা দেশের যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, এমনকি আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়েও। সংহতি জানানো সবাই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে বিচারের দাবি জানান।