৫ জানুয়ারির পরের সব নির্বাচন কিম্ভুতকিমাকার: রিজভী
আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনি সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তা ছিল কিম্ভুতকিমাকার ও উদ্ভট, যা ছিল একতরফা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, নিশিরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, পাইকারি হারে জালভোট দেওয়া, ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, গায়েবি ভোট, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়াসহ একের পর এক অভিনব ভোট।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই গণতন্ত্রকে পাত্তা দেয় না। জনগণের ক্ষমতার প্রতি অবিশ্বাসী-অবিশ্বস্ত আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করতে পরিকল্পিতভাবে ২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছিল। এর পর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে।
‘আওয়ামী সময়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, উদার মনোভাব, সবার একত্রীকরণ, সাংস্কৃতিক অনুরণন, বিনা বাধায় নিজের পছন্দমতো বিশ্বাস নিয়ে চলার অধিকার নেই। ’
তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে যে সরকার ক্ষমতায় বসে আছে সে ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে একই কায়দায় মানুষের অধিকার হরণ করা হয়। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলে আগের রাতে ভোট দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। বর্তমানে দেশ থেকে গণতন্ত্র নির্বাসিত। মানুষের বাকস্বাধীনতায় তালা মেরে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করে নেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের আয়নায় সবকিছু দেখতে গিয়ে আইনের শাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।