fbpx
হোম জাতীয় ২০২১ সালের শিক্ষা কার্যক্রম বদলে যাচ্ছে !
২০২১ সালের শিক্ষা কার্যক্রম বদলে যাচ্ছে !

২০২১ সালের শিক্ষা কার্যক্রম বদলে যাচ্ছে !

0

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিবেচনায় বদলে যাচ্ছে গতানুগতিক শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যমান কারিকুলামের আওতায় ২০২১ সাল জুড়ে শিক্ষা কার্যক্রমে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা হবে। একই সঙ্গে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের ঘাটতি পূরণ করতে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বছরে বিশেষ ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সম্ভাবনা এখনও নেই। এছাড়া আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে। সে কারণেই আগামী বছরের শিক্ষা কার্যক্রম কেমন হবে তার প্রস্তুতি এখন থেকেই নেয়া হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। অন্যদিকে এখন থেকে বছর জুড়েই অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন করার প্রস্তুতি নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। করোনার প্রভাব না থাকলেও অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবস্থা চালু থাকবে। একই সঙ্গে চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীর ঘাটতি পূরণেও ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে । এ জন্য নতুন বইসহ পুরাতন বছরের বই শিক্ষার্থীদের সংগ্রহে রাখতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যবই পৌঁছে দেয়া হবে। এছাড়া অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবস্থা ছাড়াও অনলাইনে পাঠদান, ভিডিও রেকর্ড করা পাঠদান চলবে। করোনা পরিস্থিতি না থাকলেও সারা বছর অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করছি। কিন্তু পারিনি। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্টে নভেম্বর থেকে শুরু করতে হয়েছে। সেটা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কার্যকর হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এটিকে ভালোভাবে নিয়েছে। এতে প্রমাণ হয়েছে ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্টের মধ্য দিয়ে শেখা যায়। আগের বিদ্যমান পরীক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে কিছু শেখার নেই। কী শিখেছে তা যাচাই করা হতো। এই ব্যবস্থা শুধু পরীক্ষা নির্ভর। তাই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব না থাকলেও আমরা আগামী বছর ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট চালু রাখবো।

তিনি আরো বলেন, ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট ব্যবস্থায় ফাঁকি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে বা অ্যাসাইনমেন্ট দেখলেই বুঝতে পারবেন শিক্ষার্থী নিজে করেছে কি-না। যদি নিজে না করে তাহলে আবার তাকে একই অ্যাসাইনমেন্ট দেবেন শিক্ষকরা।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক বলেন, শিক্ষার্থীর অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষকের কাছে যাওয়ার পর দুর্বলতা খুঁজে পাবেন। ওই অ্যাসাইনমেন্টের দুর্বলতা নির্ণয় করে শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা তখন তাদের দুর্বলতা বুঝতে পারবে। শিক্ষকরা দুর্বলতা বুঝে শিক্ষার্থীকে শেখাতেও পারবেন। প্রয়োজনে আবার অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট পাঠের জন্য সক্ষম করে তুলবেন।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললেও ২০২১ সালের তিন মাসের (জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ) অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুত করব। এছাড়া অনলাইন ক্লাসও চলবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলেও অনলাইন ক্লাস চলবে। ২০২০ সালে শিক্ষা কার্যক্রমে থাকা ঘাটতির জন্য কিছু নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া আগামী বছর আমাদের একটি প্যাকেজ চালু থাকবে, যেখানে পুরাতন কারিকুলামে নতুন কারিকুলামের কিছু কনটেন্ট থাকবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রজেক্ট ওয়ার্ক থাকবে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *