১০ সাংবাদিক পেলেন টিআইবি’র অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০১৯
১০ জন গণমাধ্যমকর্মীকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কার দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারের মেঘমালা কনফারেন্স রুমে এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০১৯’ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন টিআইবির ন্যায়পাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সব সাংবাদিকতাই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। সংবাদ তো অনুসন্ধান করেই বের করতে হয়। তাহলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কেন বিশেষায়িত? এর পেছনেও সংবাদ কাটতি বাড়ানোর বিষয় আছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিশেষায়িত হয়েছে প্রতিকূল অবস্থার কারণে। যদি সবকিছু অনুকূল থাকত, অর্থাৎ সরকার আদর্শিক অবস্থানে মালিকেরা, পাঠকেরা আদর্শিক অবস্থানে, তাহলে তো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হতো না।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাড়ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ভিত্তিটা নৈতিক, যেখানে ন্যায়-অন্যায়ের প্রশ্ন আসে, মানবাধিকার, নীতির প্রশ্ন আসে। এগুলো থেকে যখন পুরো দেশ বিচ্যুত হয়ে যায়, যখন দুর্নীতি, সহিংসতা বাড়ে, তখনই অনুসন্ধানের প্রয়োজন হয়। যারা দুর্নীতি করছে বা অপরাধ করছে, তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে সরকার বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান, তখনই অনুসন্ধানের প্রয়োজন হয়। এটি যে সহজ কিছু, তা কিন্তু না।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যম সাম্প্রতিক কালে অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে দুটি ধারা আছে। একটি অংশ এই অবস্থায় নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে। যোগসাজশে, সুবিধা অর্জনের সুযোগ ও পেশাগত আপস করছে। দ্বিতীয় অংশটি এর মধ্যেই টিকে থাকার চেষ্টা করছে।