সড়ক বিভাগের প্রতি এক তরুণের আহ্বান
তারুণ্য শক্তিতে জ্বলে ওঠে সমাজ। তারুণ্য মানেই জাতির অঙ্গিকার। সমাজের নানা অসঙ্গতি ও ক্ষতগুলো যাদের চোখে বিষের মতো। সমাজ, দেশ তথা জাতির মুক্তিতে যারা ছুটে চলে অনবরত।
রংপুর কারমাইকেল কলেজ’র শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন সকাল প্রায়ই নানা অসঙ্গতি তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তাই চেঞ্জ টিভি’র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সমাজের আড়ালে থাকা সড়কের একটি বিষয়কে গুরুত্বসহকারে দৃষ্টিপাত করেছেন।
ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন ও সড়ক বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাজ্জাদ হোসাইন সকাল লেখেন, রাস্তার উপরে ভুট্টা, ধান, খড় ইত্যাদি বিভিন্ন রকম জিনিসে ভরপুর। প্রায়ই সময় শহরের বা গ্রামের রাস্তায় এসবের কারণে নিরাপদে চলাচল করা যায় না।
গাড়ির লাইসেন্স থাকবে, রোড ট্যাক্স দিয়ে গাড়ি চালানো হবে অথচ রাস্তায় নিরাপদে চলাচলে এসবের বাধা প্রায়ই সামনে আসে। ট্রাফিক আইন বা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের কোন নজর আছে ? নাকি শুধু গাড়ির লাইসেন্স চেক করাই তাদের কাজ ?
গাড়ির কাগজ চেক করার আগে রাস্তা ক্লিয়ার করা হাইওয়ে পুলিশের ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনের প্রধান কাজ বলে আমি মনে করি। এটার জন্যও একটা আইন করা দরকার যে, রাস্তার মধ্যে কোন প্রকার ধান, গম, ভুট্টা, খড় শুকাতে দিলে জরিমানাসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
শুধু তাই নয়, রাস্তার মধ্যে কোন গরু, ছাগল বাঁধলে জরিমানার বিধান থাকা দরকার। কেনোনা গরু-ছাগলকে ঘাস খাওয়ার জন্য রাস্তায় যারা বেঁধে রাখে মূলত যানবাহনগুলোকে তাদের কারণে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। রোড ট্যাক্স দিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালানো হয় কিন্তু গরু-ছাগল দুর্ঘটনায় পড়লে উল্টো অনেক সময় জরিমানা দিতে হয় গাড়ির মালিককে যা কোনো আইনে নেই।
প্রশাসন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনকে কঠোর ভাবে এগুলোতে নজর দিতে হবে বলে আমি মনে করি। প্রশাসন, ট্রাফিক সার্জেন্ট, হাইওয়ে পুলিশ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংবা সড়ক বিভাগের উচিত এসব সমস্যা সমাধান করে গাড়ি নিরাপদে চলাচলের ব্যবস্থা করা।