fbpx
হোম জাতীয় সুপ্রিম কোর্ট বারে আইনজীবীদের হাতাহাতি
সুপ্রিম কোর্ট বারে আইনজীবীদের হাতাহাতি

সুপ্রিম কোর্ট বারে আইনজীবীদের হাতাহাতি

0

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সম্পাদকের পদ নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এতেনজরুল ইসলাম প্রামাণিক নামে এক আইনজীবী আহত হয়েছেন। ভেঙে ফেলা হয়েছে বার সম্পাদকের কার্যালয়ের নেমপ্লেট। বুধবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি সমর্থক একদল আইনজীবী আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সম্পাদক পদ দখল করার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদকের কক্ষের সামনে এসে ভোট চোর, ভোট চোর বলে স্লোগান দেয়। এ সময় সরকার সমর্থক আইনজীবীরা বাধা দিলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে নজরুল ইসলাম আহত হন। এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে। আমাদের সাহসী নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, স্বঘোষিত সম্পাদকের স্বেচ্ছায় বিদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

আওয়ামীপন্থি আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী যুগান্তরকে বলেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মিটিং চলাকালে বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীরা অতর্কিত হামলা চালায়। তারা সম্পাদক আব্দুন নূর দুলালের নেমপ্লেট ভাঙচুর করে। এ সময় আইনজীবী নজরুল ইসলাম প্রামাণিক গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ, ১৭ মার্চ গণনা শেষে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, কোষাধ্যক্ষ, সহ-সম্পাদক দুইজন এবং চারজন সদস্যসহ মোট আটটি পদে এগিয়ে থাকেন। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি, দুটি সহ-সভাপতি এবং তিনজন সদস্যসহ মোট ছয়টি পদে এগিয়ে থাকেন। কিন্তু ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর আওয়ামীপন্থি সম্পাদক প্রার্থী আব্দুন নূর দুলাল ভোট পুনঃগণনার জন্য দরখাস্ত দিয়ে নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ককে চাপ সৃষ্টি করেন। ফলে নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক পদত্যাগ করেন।

বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের অভিযোগ-মেয়াদোত্তীর্ণ কার্যকরী (২০২১-২২) কমিটির আওয়ামীপন্থি সাতজন সদস্য অবৈধভাবে ১২ এপ্রিল নির্বাচন সাব-কমিটি গঠন করেন। অথচ তাদের মেয়াদ ১১ এপ্রিল শেষ হয়ে যায়। ওই অবৈধ সাব-কমিটি ২৭ এপ্রিল অবৈধভাবে জোরপূর্বক সমিতির কনফারেন্স রুমের তালা ভেঙে পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যালট ছিনতাই করে আব্দুন নূর দুলালকে সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করে। পরবর্তী সময়ে বারে নির্বাচিত বিএনপি সমর্থিত সাত সদস্য গত সোমবার এক সভায় আব্দুন নূর দুলালকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *