সাভারে মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে শিশু বলাৎকারের অভিযোগ
সাভারে এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে মিঠুন সরকার নামে একজনের নামে মামলা হয়েছে। রবিবার বিকেলে সাভার মডেল থানায় হাজির হয়ে বলাৎকারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী নিরব শিকদার।
অভিযুক্ত মিঠুন সরকার সাভারের বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকার প্রফুল্ল সরকারের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে ছোট ছোট শিশুদের ডেকে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে আসছে বলে অভিযোগ আছে । তার বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকবার সমকামীতার অভিযোগ উঠলেও মিঠুন সরকার ভুক্তভোগীদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বিষয়গুলো ধামাচাপা দিয়ে দেয় বলে জানান এলাকাবাসী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নিরব শিকদার সাভার নিউমার্কেটের নীচতলায় অবস্থিত মাহমুদুর রহমানের মালিকানাধীন পিসি মেলা নামক কম্পিউটারের দোকানে সিসি ক্যামেরা টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন। শনিবার বিকেলে সমকামী মিঠুন সরকার তার রেডিও কলোনী অফিসের সিসি টিভি ক্যামেরা ঠিক করার জন্য নিরব শিকদারকে ডেকে নিয়ে যান। পরবর্তীতে তাকে অফিসের ভিতরে আটকে রেখে জোরপূর্বক বলাৎকার করে।
সাভার উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেক বলেন, মিঠুনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শুনেছি এবার একটি শিক্ষা হওয়া উচিত। কারন অপরাধী যেই হোক আইন সবার জন্য সমান। আমরা এই ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই পাশাপাশি ঘটনার সঠিক বিচারেরও দাবি জানাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাভার নিউ মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী বলেন, সমকামী মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগের কথা শুনেছি। এসব বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হলেও তার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন মিঠুনের অপকর্মের পরিমান বেড়েই চলেছে। মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাদেরকে নানা ভাবে হুমকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন এবং লোকজন দিয়ে মারধরও করিয়ে থাকেন। মিঠুন সরকারের সমকামীর বিষয়ে সাভারবাসী অবগত থাকলেও তার বিরুদ্ধে অনেকেই কথা বলতে সাহস পায়না।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে এর আগেও সাভার থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মিঠুন সরকারকে গ্রেপ্তারের জন্য ইতিমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। খুব শিঘ্রই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।