সাংবাদিক শিমুল হত্যার বিচার দাবি
নানা কর্মসূচির মাধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দৈনিক সমকাল পত্রিকার শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুলের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রেস এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জেলা এবং উপজেলার প্রতিনিধি ছাড়াও নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল কালো পতাকা উত্তোলন, সাংবাদিক শিমুলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, মুখে কালো কাপড় বেধে মৌন মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ, কবর জিয়ারত, কোরআন খানি, দোয়া মাহফিল ও কাঙ্গালি ভোজ।
এ উপলক্ষ্যে শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সভাপতি মোঃ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিমুল হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমকালের সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম খান রানা, শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুজ্জামান শফি, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল-আমিন হোসেন, প্রেসক্লাব শাহজাদপুরের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, নিহত সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম প্রমুখ।
কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, নিউএজ এর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সুলতানা ইয়াসমিন মিলি, একুশে টিভির সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি স্বপন মির্জা, দৈনিক দেশ রূপান্তরের সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোঃ মুমীদুজ্জামান জাহান, দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি কোরবান আলী লাভলু, একাত্তর টিভির শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি ফরিদ আহম্মেদ চঞ্চল, দৈনিক আমার সংবাদের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম, আজকালের খবরের উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ মোশাররফ, সময়ের কন্ঠস্বর প্রতিনিধি রাজিব আহমেদ, ঢাকা প্রতিদিনের উপজেলা প্রতিনিধি জাকারিয়া মাহমুদ, যায়যায় দিনের উপজেলা প্রতিনিধি এমএ জাফর লিটন, ভোরের ডাকের উপজেলা প্রতিনিধি জেলহক হোসাইন, নিহত শিমুলের মামা আব্দুল মজিদ মন্ডল, ভাই আবুল কালাম আজাদ, ছেলে আল নোমান নাজ্জাশি সাদিক মেয়ে তামান্না-ই-ফাতেমা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পৌর শহরের মনিরামপুরে শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর বাড়ির সামনে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। ওইদিন চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারী উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
পরে সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী বাদী হয়ে পৌর মেয়র মিরুসহ ৪০ জনের নামে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মিরুসহ ৩৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে চার্জ গঠন প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং মামলার সকল আসামী জামিনে রয়েছেন।