সাংবাদিকদের কাজ করা বর্তমানে কঠিন হয়ে যাচ্ছে: ভিপি নুর
সম্প্রতি ভোলার বুরহানুদ্দিনে সাংবাদিক সাগর চৌধুরীকে মারধর করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পুত্র ছাত্রলীগ নেতা নাবিল। নাবিল সাংবাদিক সাগরকে বলেন,আমি ভিপি নুরকে গুনিনা তুই কোথাকার সাংবাদিক। এবিষয়ে চেঞ্জ টিভির পক্ষ থেকে ভিপি নুরের কাছে জানতে চাইলে ডাকসু ভিপি বলেন, দেখুন বাংলাদেশে সাংবাদিকদের কাজ করা বর্তমানে কঠিন হয়ে যাচ্ছে,কারণ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের দ্বারা সাংবাদিকরা দিন দিন মার খাচ্ছেন, এটা আমাদের দেশের জন্য একটা অশনি সংকেত যেখানে গণমাধ্যমকে বলা হয় দেশের চতুর্থ স্তম্ভ ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম করেছেন এই বিষয়টা সাংবাদিক ইউএনওকে জানালে উনি (ইউএনও) চেয়ারম্যানকে তলব করেন, আর এজন্যই চেয়ারম্যানের ছেলে নাবিল হায়দার সাংবাদিক সাগর চৌধুরীকে মারেন। আর নাবিল সাংবাদিককে মারার সময় আমার প্রসঙ্গ টেনে এনেছে এজন্য, সে (নাবিল) ডাকসুতে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। সে কারণে সাংবাদিককে বলেছে যেখানে আমি ভিপি নুরকে গুনিনা সেখানে তুই কে! আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জোরালো আহ্বান জানাই।
করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে ভিপি নুর বলেন, করোনা পরিস্থিতি থেকে দেশবাসীকে নিরাপদ রাখতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাই। আমাদের দেশে শুরুর দিকে কিন্তু ভালো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তারপরও সরকার বর্তমানে ভালো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, যেখানে উন্নত দেশগুলোও এ সংকট মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের মতো ছোট্ট ও ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গঠন ছাড়া সরকারের একার পক্ষে এ সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ এক প্রকার অঘোষিত লকডাউন চলছে। স্কুল কলেজ ভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এবং অফিস-আদালত, কল-কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ একটা মারাত্মক সংকটে পড়েছে। সবাই যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসলে এ সংকটের সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করি। ভিপি নুর বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে অনেকেই অনেক কিছু করার চেষ্টা করছেন। সরকারকে উদ্যোগী হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
নুর আরো বলেন, আমরা ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ’ এর পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জীবাণুনাশক স্প্রে, সচেতনতামূলক লিফলেট, মাস্ক, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছি। এখন বিভিন্ন এলাকায় নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বিতরণে কাজ করছি। সারাদেশে বিশাল ভলান্টিয়ার গ্রুপ থাকা সত্ত্বেও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক কাজ করতে পারছি না। তাই সামর্থ্যবান মানুষদের সহোযোগিতা প্রত্যাশা করছি।