সরকার রেলকে লাভজনক খাতে পরিণত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে সরকার রেলকে লাভজনক খাতে পরিণত করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি সংস্থার প্রেসক্রিপশনে বিএনপি এ খাতকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনসহ বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
উত্তরের জেলা দেশের প্রত্যন্ত জনপদ কুড়িগ্রামও এবার রেলপথে সরাসরি যুক্ত হলো রাজধানী ঢাকার সঙ্গে। বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্স করে গণভবন থেকে ঢাকা-কুড়িগ্রামে চলাচল করা নতুন আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা অত্যাধুনিক এই ট্রেন সপ্তাহের ৬ দিনই প্রায় দেড় হাজার যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। ১০ ঘণ্টায় এটি কুড়িগ্রাম থেকে পৌঁছাবে রাজধানীতে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছিল বলেই রেলখাত আজ শুধু লাভজনক নয়, আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের অন্যতম হাতিয়ার।
শেখ হাসিনা বলেন, কোন কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্দেশনা ছিলো কোনটা কোনটা লাভবান হয় না। সেটা বন্ধ করে দাও। ঠিক এই নির্দেশনায় অনেক রেল লাইন বন্ধ করে দেয় বিএনপি, যখন তারা ক্ষমতায় ছিলেন।
এই অনুষ্ঠান থেকেই লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেসের বগি সংখ্যা বৃদ্ধির কার্যক্রমও উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উত্তরের তিন জেলার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যেন কোনো মঙ্গা শব্দটা কুড়িগ্রাম আর উত্তরবঙ্গের মানুষের উচ্চারণ করতে না হয়। কুড়িগ্রামে কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে দিতে পারি। লালমনিরহাটে ভিন্নধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দিবো।
এর আগে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৪ লেন বিশিষ্ট ভূলতা ফ্লাইওভার, চট্টগ্রামের পটিয়া বাইপাস, মুন্সিগঞ্জের ১৩টি ও ময়মনসিংহের একটি সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় ট্রাফিক আইন সম্পর্কে প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, স্কুল থেকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে বাচ্চাদের সচেতন করতে হবে। রাস্তার কোন দিক থেকে হাটতে হবে সেটাও শিক্ষণীয় বিষয়।
চালক-পথচারীসহ মহাসড়কের প্রত্যেক ব্যবহারকারীর দায়িত্বশীল ভূমিকাই দুর্ঘটনা রোধ করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।