fbpx
হোম রাজনীতি সরকার দেশকে জুয়া, মাদক ও ক্যাসিনোর দেশে পরিণত করেছে: বিএনপি
সরকার দেশকে জুয়া, মাদক ও ক্যাসিনোর দেশে পরিণত করেছে: বিএনপি

সরকার দেশকে জুয়া, মাদক ও ক্যাসিনোর দেশে পরিণত করেছে: বিএনপি

0

আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে জুয়া, মাদক ও ক্যাসিনোর দেশে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা এই সরকারকে মাদকাসক্ত, চাঁদাবাজ, গণবিরোধী ও ক্যাসিনো সরকার বলে আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন দলটির নেতারা। তারা বলেন, এই সরকার ও সংসদ অবৈধ, জুয়াড়িদের সরকার, গণতন্ত্রের বিরোধী সরকার। পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসনের ওপর ভর করে ২৯ ডিসেম্বর রাতে এই সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। তাই অবিলম্বে তারা সরকারকে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান। অন্যত্থায় আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের হুমকি দেন নেতারা। বিএনপি নেতারা বলেন, সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। দেশ আজ ক্যাসিনো আর জুয়াড়িদের দখলে।

অবিলম্বে সরকারের উচিৎ হবে পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। একই সমাবেশে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির দাবি জানান। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে দলটির নেতারা এই আহ্বান জানান। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে সিলেট মহানগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিভাগীয় এই সমাবেশের আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। বিভাগীয় এই মহাসমাবেশ ঘিরে গত সোমবার রাত থেকেই শুরু হয় নানান নাটকীয়তা। পুলিশের অনুমতি দেয়া না দেয়া, মঞ্চ তৈরির পর তিনবার তা ভেঙে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে গতকাল সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি প্রদান করে বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার। সকালে পুনরায় সমাবেশের জন্য মঞ্চ তৈরি করা হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশের জন্য নির্ধারিত রেজিস্ট্রারি মাঠে জমায়েত হতে থাকে। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ওই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে আশপাশের সড়কগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। এরপর সময় যতই গড়িয়েছে ততই বেড়েছে নেতাকর্মীদের ভিড়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কর্মসূচি আসবে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণ এতো ভালোবাসে কেনো? কারণ তিনি যখন মঞ্চে বসেন সেখান থেকে নূর বিচ্ছুরিত হয়। কিসের নূর? সেই নূর হচ্ছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের নূর। গণতন্ত্রের নূর ও ধর্মের প্রতি ভালোবাসার নূর। এগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক। এই সরকার জনগণকে ভয় পায় ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই সভা করতে দেয়না। কারণ তারা রাতের বেলা ভোট ডাকাতি করেছে বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে। এজন্যই তারা অবৈধ সংসদ অবৈধ। আওয়ামী লীগ খুবই পরিকল্পিতভাবে দেশকে ধ্বংস করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিচার বিভাগ দলীয়করণ করেছে সরকার। এখন তারা সেটাকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে। প্রশাসন দলীয়করণ করেছে। তারা চোর ডাকাত গ্রেফতার করতে পারেনা। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কাজ করছে। গত নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আগের রাতেই তারা ভোট ডাকাতি করেছে। গণতন্ত্রের কথা বলে তারা জনগণের সাথে প্রতারণা করে। পূণ্যভূমি সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি মরহুম এমএজি ওসমানী, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলীসহ দলের কয়েকজন নেতার নাম স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সারা দেশে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে এই সরকার। ২৬ লাখ নেতার নামে মামলা দিয়েছে। আসলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কারো নিরাপত্তা থাকবে না। তারা আজকে ঘরে ঘরে ক্যাসিনো ব্যবসা করছে। জুয়ার আড্ডা বসিয়েছে। এই সরকার সত্যিকার অর্থেই গণবিরোধী এবং লুটেরা সরকার। তারা মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুট করছে। আপনারা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে কর্মসূচি আসবে।

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে এই সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। ১৯৭৮ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং ১৯৯৩ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠিয়েছিলেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *