সরকারের পদত্যাগ চাইলেন রিজভী
সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা আর সর্বগ্রাসী দুর্নীতি-লুটপাটে বেসামাল মিডনাইট সরকার দেশে-বিদেশে বিতর্কিত হওয়ায় অস্থির হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ শুক্রবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে তিনি বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে চাইলে জনগণের স্বার্থ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীসহ এই সরকারের পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, গত এপ্রিলে ওবায়দুল কাদের করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি মনিটর করছেন। নির্দেশনা দিচ্ছেন, তদারকি করছেন’। জনগণ জানতে চায়, প্রধানমন্ত্রী যদি করোনা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করেন তাহলে ভুয়া প্রতিষ্ঠান ‘জেকেজি হেলথ কেয়ার এবং রিজেন্ট হসপিটাল’ করোনা টেস্ট ও ট্রিটমেন্টের অনুমতি পেলো কেমন করে? মরণঘাতী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যখন সারাবিশ্বে এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে কাজ করছে, তখন এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে নেয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে, প্রধানমন্ত্রী জানেন না, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানেন না তাহলে জানবেটা কে? এমন পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে চাইলে জনগণের স্বার্থ রক্ষায় গোটা সরকারেরই খোলনলচে পাল্টাতে হবে। অর্থাৎ প্রধামন্ত্রীসহ এই সরকারের পদত্যাগ করতে হবে।
‘বিএনপি এখন মানসিকভাবে বিপন্ন। বিএনপি নিজেরাই জনরোষের ভয়ে আতিঙ্কিত। করোনার বেপরোয়া চালকের মতো তারা রাজনীতিতেও বেপরোয়া আচরণ করছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যর জবাবে রিজভী বলেন, কাদের সাহেবের কথাটা হবে ‘আওয়ামী লীগ জনরোষের আতঙ্কে আছে।’ কিন্তু তিনি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে ফেলেছেন কথাটা। নিজেদের অবস্থাটা এখন অন্যের মধ্যে দেখতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, বিএনপি আতঙ্কিত হবে কেন? বিএনপি কি চাল চুরি, তেল চুরি, ত্রাণ চুরি, করোনার টেস্ট কিট দুর্নীতি, ব্যাংক লোপাট, রাজকোষ চুরি, শেয়ার বাজার লুণ্ঠন, রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট ডাকাতির কাজে লিপ্ত ছিল কি? সুতরাং জনরোষের ভয়ংকর আতংকের মধ্যে আপনারা এখন প্রলাপ বকছেন।