সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধে ছাত্র অধিকার পরিষদের নিন্দা ও প্রতিবাদ
গত ০২/১২/২০ ইং তারিখে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় – “পূর্বানুমতি ছাড়া ঢাকা মহানগরীতে যেকোনো ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পূর্বানুমতি ছাড়া কেউ এমন কার্যকলাপে জড়িত হলে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোঃ রাশেদ খাঁন জানান, বিজয়ের মাসে ডিএমপি কর্তৃপক্ষের এ ধরণের অগণতান্ত্রিক, জন-বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ৷ একই সাথে সভা, সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার হরণ করে সংবিধান পরিপন্থী কাজ থেকে ডিএমপি কর্তৃপক্ষকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম শর্ত হলো – জনগণকে মত-প্রকাশের স্বাধীনতা প্রদান। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রশাসনকে ব্যবহারকে জনগনের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাদের স্বৈরতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ করেছে।
দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতি, করোনা মহামারিতে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি, লুটপাটসহ সাম্প্রতিক সময়ের নানা অপকর্মের কারণে সরকারের প্রতি যে জনরোষ তৈরি হয়েছে সেটা রুখতেই সরকার ও প্রশাসন এমন মানবতাবিরোধী ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
তাই বিজয়ের মাসে সংবিধান বিরোধী যে কোন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকার ও প্রশাসনকেও গণবিরোধী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।