fbpx
হোম অন্যান্য শিগগিরই আমি কৃতজ্ঞদেরকে পুরস্কৃত করবো
শিগগিরই আমি কৃতজ্ঞদেরকে পুরস্কৃত করবো

শিগগিরই আমি কৃতজ্ঞদেরকে পুরস্কৃত করবো

0

কৃতজ্ঞ বান্দারা মহান আল্লাহর অনেক প্রিয়। তিনি নিজেও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারী বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট। মহান আল্লাহ কৃতজ্ঞ বান্দা সম্পর্কে কোরআনুল কারিমের বিশেষ ঘোষণা দিয়েছেন। এবং আমি শিগগিরই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দেব।

প্রতিদান কেমন হবে?

হ্যাঁ, মহান আল্লাহ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারী বান্দাকে বিনিময় দান করবেন। যে যেমনটি চাইবেন; তার বিনিময়ও তিনি তেমনই পাবেন। আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে বিষয়টি এভাবে তুলে ধরেছেন-

وَ مَا کَانَ لِنَفۡسٍ اَنۡ تَمُوۡتَ اِلَّا بِاِذۡنِ اللّٰهِ کِتٰبًا مُّؤَجَّلًا ؕ وَ مَنۡ یُّرِدۡ ثَوَابَ الدُّنۡیَا نُؤۡتِهٖ مِنۡهَا ۚ وَ مَنۡ یُّرِدۡ ثَوَابَ الۡاٰخِرَۃِ نُؤۡتِهٖ مِنۡهَا ؕ وَ سَنَجۡزِی الشّٰکِرِیۡنَ

‘আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কারো মৃত্যু হবে না। কেননা, তার (মৃত্যুর) অবধারিত মেয়াদ লিখিত আছে। আর যে কেউ দুনিয়ায় পুরস্কার চাইবে, আমি তাকে তা থেকে (কিছু) প্রদান করবো এবং যে কেউ পরকালে পুরস্কার চাইবে, আমি তাকে তা থেকে প্রদান করবো। আর শিগগিরই আমি কৃতজ্ঞদেরকে পুরস্কৃত করবো।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৪৫)

আয়াতের সার-সংক্ষেপ

এ আয়াতের প্রথমাংশে বিপদাপদের সময় ধৈর্যের ওপর অটল থাকার শিক্ষা দিয়ে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক মানুষের মৃত্যুর সময় আল্লাহ তাআলার কাছে লিপিবদ্ধ রয়েছে। মৃত্যুর দিন, তারিখ, সময় সবই নির্ধারিত, নির্দিষ্ট সময়ের আগে কারো মৃত্যু হবে না এবং নির্দিষ্ট সময়ের পরও কেউ জীবিত থাকতে পারবে না। সুতরাং মৃত্যুর চিন্তায় কারো হতবুদ্ধি হয়ে পড়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

আয়াতের দ্বিতীয় অংশে প্রতিদান দেওয়ার বিষয়ে মহান আল্লাহ দুটি ঘোষণা দিয়েছেন। একটি দুনিয়ায় প্রতিদান প্রাপ্তি আর দ্বিতীয়টি পরকালের প্রতিদান। এ আয়াতে আল্লাহ সুস্পষ্ট করেছেন, এটা বুঝার সুযোগ নেই যে, দুনিয়ায় চাইলেই তাকে তা দেয়া হবে। কারণ, অন্য আয়াতে এটা শর্তসাপেক্ষে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সে শর্ত হচ্ছে, সেটা (প্রতিদান) দেওয়ার জন্য আল্লাহর ইচ্ছা থাকতে হবে। যেমন বলা হয়েছে, ‘কেউ আশু সুখ-সম্ভোগ কামনা করলে আমি যাকে যা ইচ্ছে এখানেই সত্বর দিয়ে থাকি।’ (সুরা আল-ইসরা : আয়াত ১৮)

মোট কথা, দুর্বল ও ভীতু লোকদের উৎসাহ বাড়ানোর জন্য বলা হচ্ছে যে, মৃত্যু তো তার নির্দিষ্ট সময়ে আসবেই। অতএব পালিয়ে যাওয়ার ও ভীরুতা দেখানোয় লাভ কি? অনুরূপ কেবল দুনিয়া চাইলে তা হয়ত পাওয়া যাবে, কিন্তু আখেরাতে কিছুই পাওয়া যাবে না। পক্ষান্তরে যারা আখেরাত কামনা করে, তারা তো আখেরাতের নিয়ামত পাবেই, সেই সাথে তাদেরকে মহান আল্লাহ দুনিয়াও দান করেন। আরও বেশি উৎসাহিত করার এবং সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য পরের অংশে যেমন শিগগির প্রতিদান দেওয়ার কথা বলেছেন। আবার পরের আয়াতে আগের নবিগণ এবং তাদের অনুসারীদের ধৈর্য ধরার এবং সুদৃঢ় থাকার দৃষ্টান্ত পেশ করা হচ্ছে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরআনুল কারিমের এ আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দ্বীনের ওপর একনিষ্ঠ থাকার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার মাধ্যমে সওয়াব ও প্রতিদান পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন। (সংগৃহীত)

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *