শাহজাদপুরে নিজ গৃহে যুবকের লাশ; হত্যা নাকি আত্মহত্যা?
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিজ গৃহে আরিফুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি কেউ তাকে রাতের অন্ধকারে হত্যা করেছে। কিন্তু বিভিন্ন আলামত এবং ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা? বিষয়টি ঘিরে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মর্মান্তিক এঘটনাটি ঘটেছে শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বাঐকোলা গ্রামে। নিহত আরিফুল ইসলাম উক্ত গ্রামের ভ্যান চালক মিজানুর রহমানের ছেলে। তিনি নিজেও ভ্যান চালাতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট অবিবাহিত আরিফুল বাড়িতে মা বাবার সাথে বসবাস করতেন। তার অপর দুই ভাই ঢাকায় চাকরি করলেও মেঝো ভাই শরিফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়িতে আসেন।
নিহতের মা ফরিদা বেগম জানান, রাতের খাবার খেয়ে আরিফুল আনুমানিক রাত ১০টায় বাড়ির বাইরে হাটতে বের হয়। ও কখন বাড়ি ফিরেছে জানিনা। ও সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে, একারণে সকাল ১০টার দিকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে দরজা খুলে ঘরের আড়ার সাথে ওরনা পেচিয়ে আরিফের মরদেহ ঝুলতে দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এবং লাশটি নীচে নামায়। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে শাহজাদপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে।
আরিফুলের ঘর পরিদর্শন করে দেখা যায়, আড়ার সাথে একটি ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলছে। পাশেই বিছানায় তার নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। মৃতদেহের গলায় ফাঁস লাগানোর মত কালো দাগ এবং আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দোচালা টিনের ঘরের মেঝে থেকে আড়ার উচ্চতা ৬ফিট ৫ ইঞ্চি। অন্যদিকে মৃত আরিফুলের উচ্চতা ৫ ফিট ৮ ইঞ্চি। নিহত আরিফুলের কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, মৃতদেহ পাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা কেউ কোন কিছু বুঝতেই পারেন নাই।
শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমরা আরিফুলের মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।