শাহজাদপুরে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো অবৈধ বালু উত্তোলন
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের যমুনা নদীর তীরবর্তী গোপালপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশ থেকে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধ করে এলাকাবাসীর নিকট প্রশংসিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামসুজ্জোহা।
ঘটনাস্থলে বাঁধের গা ঘেষে গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলন করছিলেন কৈজুরি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য প্রভাবশালী বালু ব্যাবসায়ী মোঃ চুন্নু মিয়া।
ফলে হুমকির মুখে পড়ছে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত গোপালপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।গোপালপুর মোড় থেকে হাট পাচিল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধটি ইতোপূর্বে কয়েকবার ভেঙ্গে গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুনরায় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয় বাঁধটি। প্রতিবছর বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় প্লাবিত হয় শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী, জালালপুর, বেলতৈল ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম। ফলে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন এবং বিনষ্ট হয় বহু মূল্যবান গোঁ খাদ্য। নষ্ট হয়ে যায় ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেশ কিছু তাঁত শিল্প কারখানা। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গোপালপুরের সাথে শাহজাদপুরের যাতায়াত ব্যাবস্থা। এ অবস্থায় এমন গুরুত্বপূর্ণ বাঁধের একেবারে পাশ থেকে অর্থ লোলুপ বালু দস্যুদের অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের খবর সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা’র নজরে আসার পর তিনি আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে সরেজমিন পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।
এ ব্যাপারে প্রভাবশালী বালু ব্যাবসায়ী ও ড্রেজারের নিয়ন্ত্রক চুন্নু মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। যদিও তিনি পূর্বে দাবি করেছিলেন যে, ইউএনও’র অনুমতি নিয়েই জনস্বার্থে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। এ প্রেক্ষিতে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা চেঞ্জ টিভি ডট প্রেসকে মুঠোফোনে জানান, বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। একালাবাসী তাদের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করায় উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।