লকডাউনে যুগলবন্দী সম্পর্কগুলোতে ভিন্ন প্রভাব পড়ছে
বিশ্বজুড়ে দীর্ঘ লকডাউনের বড় প্রভাব পড়ছে সম্পর্কের (রিলেশনশিপের) ওপরে। এমনটাই মনে করছেন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ড. গ্যারি ল্যাভন্ডস্কি।
তার মতে, লকডাউন শেষে ডিভোর্স আইনজীবীদের মারাত্মক ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। লকডাউনের কারণে সম্পর্কগুলোতে যে ক্রমবর্ধমান খারাপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে তাকে রকেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন এই বিশেষজ্ঞ।
ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন, যেসব যুগল একসঙ্গে থাকছেন না, লকডাউনে তাদের সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে। কিন্তু লকডাউন শেষে যখন তারা আবার একসঙ্গে থাকতে শুরু করে তখন সম্পর্কে বড় ধরণের অসন্তোষ্টি শুরু হয়। এর কারণ হিসেবে গ্যারি ল্যাভন্ডস্কি বলেন, মহামারির কারণে বিশ্বে সম্পর্কগুলোর ধরণ পালটে গেছে। অনেকের মধ্যেই নিজেকে সময় দেয়ার প্রবণতা গড়ে উঠেছে।
নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা পরিচালক এমি মুইজি বলেন, যুগলরা তাদের সব কার্যক্রম একসঙ্গে থাকার সময় করতে পারেন না, ফলে সম্পর্কগুলো কঠিন হয়ে যায়। জরিপে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ ভাগ মানুষ মনে করেন মহামারির সময় দূরে থাকা কালগুলোতে তাদের সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে। ৫ ভাগ মনে করেন এসময় তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে বলে ধারণা করেন ৭৪ ভাগ মানুষ।
তবে ৫৭ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্কই জানিয়েছেন, তারা তাদের সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে চান। অর্থাৎ, সম্পর্কগুলো এখন অসম্পূর্ন থেকে যাচ্ছে। আবার একইসঙ্গে নিজেদের সাপোর্ট দিতে নিজেরাই এগিয়ে আসতে শুরু করেছে যুগলগুলো। ফলে সম্পর্ক একদিক থেকে এগিয়েও যাচ্ছে। তবে লকডাউনের কারণে মানুষের জীবন কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে একসঙ্গে থাকা যুগলগুলোর ওপরে।
তবে ৫৯ শতাংশ মার্কিন যুগল মনে করে সম্পর্ক আগের মতোই রয়েছে। তবে ২৬ শতাংশ মনে করেন, তাদের সম্পর্কের কারণে মানসিক চাপ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এরমধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ রয়েছেন যারা জানান, লকডাউনের সময় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করেছে তাদের সম্পর্ক।
Like
Like
Love
Haha
Wow
Sad
Angry
tags:
লকডাউন